লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা।তাহেরপুত্র যুবলীগের ১০ নেতাকর্মীকে পেটালেন।

0

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা উপলক্ষে, কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানার অপেক্ষায় ১০ জন নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়। জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহউদ্দিন টিপু এবং তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাগবাড়ী গণকবর ও জলেপল্লী রোডে এ ঘটনা ঘটে।

সালাহউদ্দিন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের ছেলে। তবে সালাউদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আহতরা সবাই হলেন সদর উপজেলা যুবলীগের প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক এবং জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইউনুস হাওলাদার রূপম এবং তার অনুসারীরা। হামলার সময় বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি সহ ফেস্টুন এবং ব্যানার ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বিকেলে শহরের সোনার বাংলা চাইনিজ রেস্তোরাঁয় প্রথম জেলা যুবলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির বর্ধিত সভা হওয়ার কথা ছিল। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, উপ -পরিবেশ সম্পাদক শামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন রিগান এবং দলের অন্যান্য নেতারা অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দুপুরে রামগঞ্জ হয়ে ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুর আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় নেতাদের। এজন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানাতে কমপক্ষে ১০ জন সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা রামগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কের পাশে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় যুবলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।

জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইউনুস হাওলাদার রূপমের অভিযোগ, তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানাতে দুপুর ১২ টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাগবাড়ি গণকবর এলাকায় দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল যুবক মোটরসাইকেলে এসে পরিকল্পিত আক্রমণ চালায়। সালাহ উদ্দিন এলোপাতাড়ি লাঠি দিয়ে তার কর্মীদের উপর হামলা চালায়

এতে যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সৈয়দ নুরুল আজিম বাবরসহ ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন।

অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাহউদ্দিন টিপু বলেন, রুপা তার লোকজনকে সরিয়ে নিতে বলেছিল কারণ তারা রাস্তা অবরোধ করেছিল। এ নিয়ে বাবর ও রূপার ঝগড়া হয়। কাউকে মারধর করা হয়নি।

লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, মারধরের বিষয়টি তিনি জানেন না। যাইহোক, যখন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতাদের শুভেচ্ছা জানাতে রূপম তার লোকদের নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে, তখন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তাদের চলে যেতে বলেন। এ সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।

কেন্দ্রীয় নেতারা আহত যুবলীগ নেতাকর্মীদের দেখতে হাসপাতালে যান। প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ নাঈম, উপ -পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামসুল ইসলাম পাটোয়ারী এবং কেন্দ্রীয় নেতারা মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে সদর হাসপাতালে দলীয় নেতা -কর্মীদের দেখতে যান। এ সময় তারা তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। এদিকে, বর্ধিত সভায় গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশে বাধার কারণে বিকেলে শুরু হওয়া সভা রাত সাড়ে৮ টায় শেষ হয়।

২০১৭ সালের ২৩ শে নভেম্বর সালাহউদ্দিনকে সভাপতি এবং আব্দুল্লাহ আল নোমানকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর বিভিন্ন বিতর্কে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিনের আলোর মুখ দেখেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *