আজ আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস।ফেনসিডিল ইয়াবার পর দেশে আইসের বিস্তার
ফেনসাইক্লিডিন ও ইয়াবার পর ক্রিস্টাল মেথ বা আইস এখন আসক্তি হিসেবে ‘জনপ্রিয়’ হয়ে উঠছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায়ই আইস জব্দ করা হয়। যেসব পথ দিয়ে দেশে ইয়াবা প্রবেশ করছে প্রায় সবগুলো পথ দিয়েও আইস আসছে। দেশের যেকোনো প্রান্তে এখনো ইয়াবা ও ফেনসিডিল পাওয়া যাচ্ছে। একইভাবে ছড়িয়ে পড়ছে আইস । এদেশে অপেক্ষাকৃত নতুন মাদককে চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এমন পরিস্থিতিতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রোববার দেশে পালিত হবে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘মাদক ব্যবহার বন্ধ করুন, সুস্থ ও সুন্দর জীবন গড়ুন’।
ঢাকা ও টেকনাফে মাদক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এর আওতায় সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর ও সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রতিবেদনেও আইসের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয় এটি একটি শক্তিশালী আসক্তি সৃষ্টিকারী মাদক। এতে আসক্ত ব্যক্তির ক্ষুধা ও উর্বরতা কমে যায়। অতিরিক্ত উত্তেজনা উচ্চ রক্তচাপের কারণ। এ কারণে অনেকে হিংসাত্মক আচরণও করে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাদক নিয়ন্ত্রণে আন্তঃবাহিনী ও সংস্থাগুলোর সমন্বয় নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এগারোটি মন্ত্রণালয় মাদকের চাহিদা, সরবরাহ ও ক্ষতি হ্রাসসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক কর্মকর্তা দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, আইস নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আইস খেলে স্ট্রোক হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। মানসিক অবসাদ বা হতাশা আত্মহত্যার প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে।
১৮ শতকে জার্মানিতে আইস প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। তারপর এটি ফাইটার পাইলটদের নিদ্রাহীন, নির্ভীক এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য উত্তেজিত রাখতে ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি আরও ছড়িয়ে পড়ে। যাইহোক, কিশোর-কিশোরীদের উপর এর নেতিবাচক প্রভাবের কারণে ১৯৮০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।