শৈলকুপায় সেচ পাম্পের পাশে কৃষকের মৃতদেহ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় একটি জমিতে সেচ পাম্পের পাশ থেকে সোহাগ ফকির (২৫) নামে এক কৃষকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার বারাইপাড়া ক্ষেত থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সোহাগ ফকির শৈলকুপা পৌরসভার হাবিবপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম ফকিরের ছেলে।
পুলিশ এবং বারাইপাড়া গ্রামের কৃষকরা জানান, বিকেল ৩টার দিকে তারা বারাইপাড়া ক্ষেতের একটি সেচ পাম্পের পাশে সোহাগের মৃতদেহ দেখতে পান। তারা তার শরীরের নীচের অংশে আঘাতের চিহ্ন এবং চামড়া উঠে যেতে দেখেন। তাদের ধারণা, সেচ পাম্প হাউস থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে, সেচ পাম্প থেকে ৫০/৬০ গজ দূরে মৃতদেহটি পাওয়া গেছে, যেখানে কোনও বিদ্যুতের তার বা খুঁটি ছিল না। তাদের দাবি, সেচ পাম্প পরিচালনাকারী উজ্জ্বল হোসেন দুপুরের দিকে মাঠে থাকা কৃষক এবং মৃতের পরিবারের সদস্যদের জানান যে কৃষক সোহাগ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। তবে, তারপর থেকে উজ্জ্বল সেচ পাম্পে ফিরে আসেননি বা পাম্প থেকে লাশ কীভাবে দূরে পড়েছিল সে সম্পর্কে কিছু বলেননি।
তবে, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে উজ্জ্বল হোসেনের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নম্বরে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করার পরেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। মৃত সোহাগের বাবা মনিরুল ফকির জানান, তিনি সকাল ৮টার দিকে তার ছেলের সাথে পেঁয়াজ লাগাতে মাঠে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর ছেলে বলে যে তার শরীর ভালো লাগছে না এবং অসুস্থ বোধ করছে। ছেলে যখন মাঠে ফিরে আসেনি, তখন তিনি ভেবেছিলেন যে তিনি বাড়ি চলে গেছেন। তারপর, যখন তিনি বাড়ি ফিরে আসেন, তখন তাকে জানানো হয় যে তার ছেলে মারা গেছে। স্থানীয় কৃষকদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে তার ছেলে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়েছে এবং টয়লেট ব্যবহার করতে সেচ পাম্পে গেছে।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান।
