১১ মাসে চীনের রপ্তানি ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
এই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে ওঠানামা সত্ত্বেও, চীন এ বছর রেকর্ড বাণিজ্য উদ্বৃত্ত অর্জন করেছে। ২০২৫ সালের প্রথম ১১ মাসে দেশটির মোট বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল প্রায় ১.০৮ ট্রিলিয়ন ডলার, যা এক বছরের মধ্যে চীনের সর্বোচ্চ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। আজ (৮ ডিসেম্বর) প্রকাশিত শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুসারে, নভেম্বরে চীনের রপ্তানি ডলারের নিরিখে ৫.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৩৩০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অক্টোবরে অপ্রত্যাশিত সংকোচনের পর এই প্রবৃদ্ধি দেশটির বাণিজ্য খাতের জন্য আশার নতুন লক্ষণ।
তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনা রপ্তানি এখনও ‘উদ্বেগজনক’ অবস্থায় রয়েছে। নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৯ শতাংশ কমেছে, যা টানা আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেও, বাজারে এর প্রভাব এখনও পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়নি বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। অন্যদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে চীনা পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সামগ্রিক রপ্তানি স্থিতিশীল রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অঘোষিত ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ চলাকালীন চীনের আমদানি ১.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মোট ২১৮.৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। গত অক্টোবরে, এক বছরের বাণিজ্য চুক্তির পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দক্ষিণ কোরিয়ায় সাক্ষাৎ করেন এবং দুই দেশর মধ্যে আংশিক শুল্ক ত্রাণ এবং বিরল মাটির রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রপ্তানি এখনও শক্তিশালী অবস্থানে থাকায়, চীন এ বছর তার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫ শতাংশ অর্জন করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটি আগামী বছরগুলিতে বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানি আরও বৃদ্ধির লক্ষ্য ঘোষণা করেছে, বৈদ্যুতিক যানবাহন, ব্যাটারি, রোবোটিক্স এবং উন্নত উৎপাদন শিল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে। মরগান স্ট্যানলির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক রপ্তানি বাজারে চীনের অংশ ১৬.৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। তবে, মার্কিন-চীন ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের অচলাবস্থার কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশের টেকসইতা নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।
