যে শহরের বাসিন্দারা বিমানে করে অফিসে যান

0

শহরে যারা বাস করে তাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই প্লেন আছে। কেউ এটা নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছে। কেউ তাদের মনকে হালকা করার জন্য প্লেন নিয়ে বের হচ্ছে। এটি এমন একটি শহর যেখানে গলি, বড় বা ছোট রাস্তা বলে কিছু নেই। একটাই পথ পুরো রানওয়ে।

ক্যামেরন পার্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি শহর। ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে অবস্থিত, এই এলাকাটি আসলে মার্কিন সরকারের সাথে নিবন্ধিত একটি শহর। সবাই এটাকে ফ্লাই-ইন আবাসিক সম্প্রদায় হিসেবে জানে। সোজা কথায়, এটি একটি এয়ারপার্ক। এই ধরনের সম্প্রদায় মূলত বিমানবন্দরে গঠিত হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, একটি রানওয়ে শহরটিকে দুটি ভাগে ভাগ করেছে। প্লেন সেখানে অনায়াসে চলাচল করতে পারে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অনেক মার্কিন বিমানবন্দর অচল হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত পাইলটের সংখ্যাও বেড়েছে।

মার্কিন কর্তৃপক্ষ যুদ্ধে অংশ নেওয়া অবসরপ্রাপ্ত পাইলটদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য একটি ফ্লাই-ইন আবাসিক সম্প্রদায় নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউএস সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অকেজো বিমানবন্দর ঠিক করে এবং অবসরপ্রাপ্ত পাইলটদের থাকার ব্যবস্থা করে। পাইলটরা একটি পরিচিত পরিবেশে থাকতে পছন্দ করবে এই ধারণার উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পার্কটি ১৯৬৩ সালে এটিকে মাথায় রেখে নির্মিত হয়েছিল। ক্যামেরন পার্ক বিমানবন্দরকে একসময় বলা হতো। সেই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছিল ক্যামেরন পার্ক এয়ারপার্ক। শহরের প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি সদস্য একসময় পাইলট ছিলেন।

এটা জানা যায় যে পৃথিবীতে এই ধরনের ৬৪০ টি ফ্লাই-ইন কমিউনিটি রয়েছে।

ক্যামেরন পার্ক এয়ার পার্কে ১২৪ টি বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে ২০ টি ঘর খালি।

অনেকে সস্তায় সেই ঘরগুলো সংরক্ষণ করছেন। ফেব্রুয়ারি মাসে এমন একটি বাড়ির বিজ্ঞাপন বের হয়েছিল। ইন্টারনেটে দেওয়া বিজ্ঞাপনে, বিমানের হ্যাঙ্গার সহ বাড়ির দাম জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল মাত্র ৬ লাখ ৮৫ হাজার ডলার!

যাইহোক, ক্যামেরন পার্কের বেশিরভাগ বাসিন্দা আরামদায়ক। ছোট শহরে সুবিধার অভাব নেই। এখানে স্কুল, বাজার, হাসপাতাল, এমনকি শপিং মলও রয়েছে। আর যদি কিছু না পাওয়া যায়, তাহলে চিন্তার কি আছে। বিমানে চড়ে নিকটস্থ শহরে যাওয়া মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যাপার!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *