ইসলাম এবং পূজা কখনো এক হতে পারে না: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন যে, ইসলাম এবং পূজা কখনো এক হতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। পূজা ভিন্ন, সম্পূর্ণ তাদের ধর্মীয় বিষয়। আর ঈদ মুসলমানদের জন্য আনন্দের বিষয়। এর সাথে কখনোই এক হতে পারে না।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে হবিগঞ্জ পৌরসভা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক জনসভার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা পিআর পদ্ধতির কথা বলেছি। আমরা শেষ পর্যন্ত দাবি করেই যাব। তারপরও যদি সরকার রাজি না হয়, তাহলে আমরা গণভোটের কথা বলেছি। আমরা চাই সরকার গণভোটের মাধ্যমে আমাদের কথা বিবেচনা করুক। তারপর দেশের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনেও আমরা পিআর পদ্ধতি দাবি করেছিলাম। এটি দেশ ও মানবতার কল্যাণের জন্য। কারণ আমরা বারবার দেখেছি যে বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থা একটি ফ্যাসিবাদী সরকার তৈরি করে। কালো টাকার র্যাকেট তৈরি করে মানুষ এখানে ভোট দেওয়ার পরিবেশ পায় না। আর বেশিরভাগ ভোটার তাদের ভোট মূল্যায়ন পায় না। প্রতিটি ভোটারকে পিআর নির্বাচনের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। ফ্যাসিবাদী সরকার গঠনের কোনও সম্ভাবনা থাকবে না। প্রতিটি দলের প্রতিনিধিরা সংসদে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।’
জাতীয় নির্বাচনে প্রয়োজনীয় সংস্কার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং অপরাধী ও খুনিদের দৃশ্যমান বিচারের দাবিতে পিআর পদ্ধতির অধীনে আয়োজিত গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা সভাপতি মহিব উদ্দিন আহমেদ সোহেল। সাধারণ সম্পাদক শামসুল হুদার পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মুফতি তাজুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, মঈন উদ্দিন খান তানভীর, আব্দুল মোসাব্বির রুনু, সোলায়মান গাজী প্রমুখ।
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম সভায় হবিগঞ্জের ৪টি আসনের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন। প্রার্থীরা হলেন হবিগঞ্জ-১ মুফতি তাজুল ইসলাম, হবিগঞ্জ-২ মুফতি শেখ হাদিসুর রহমান, হবিগঞ্জ-৩ মহিব উদ্দিন আহমেদ সোহেল, হবিগঞ্জ-৪ কামাল উদ্দিন। সমাবেশের আগে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
