কাঁচা না পাকা আম, কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী?
আম প্রায় সবার প্রিয় ফল। গ্রীষ্মের শুরুতে অনেকেই কাঁচা আমে লবণ, ডালের সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পছন্দ করেন। আর পাকা আম খাওয়ার অপেক্ষায় সবাই। কাঁচা না পাকা আম স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, আম স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি করে না। কাঁচা হোক বা পাকা, প্রতিদিন একটি করে আম খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে আম খাওয়ার দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
কাঁচা আম: কাঁচা আম ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। কাঁচা আম যেভাবে খাওয়া হয় তা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এতে গ্যালিক এসিড থাকে। যা গরমে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে কাঁচা আম খেলে গ্যাস ও বুকজ্বালার সমস্যা দূর হয়। কাঁচা আম খেলে পটাশিয়াম থাকার কারণে ঘাম কম হয়। কাঁচা আমের রস ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে। কাঁচা আমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা এই ফলটিকে শুষ্ক, শুষ্ক ত্বকে উজ্জ্বল দেখায়। তবে অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। কাঁচা আম বেশি খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।
পাকা আমে রয়েছে ক্যালরি, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, কার্বোহাইড্রেট, ক্যারোটিন এবং পটাশিয়াম। ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। পাকা আম শিশুদের দাঁত, চুল ও দৃষ্টিশক্তির জন্য বিশেষ উপকারী। প্রতিদিন একটি করে পাকা আম খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাকা আমে প্রচুর ক্যালরি থাকে, যা শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। তবে বেশি না খাওয়াই ভালো। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের পাকা আম খেতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিন কতটা পাকা আম খাওয়া উচিত, তা পুষ্টিবিদদের পরামর্শে খাওয়া দরকার। অন্যদিকে যারা ওজন কমাতে নির্দিষ্ট ডায়েট অনুসরণ করেন তাদের অতিরিক্ত পাকা আম খেতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা।