ই-স্বাস্থ্য।যা রোজায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ
যারা রমজানে রোজা রাখেন তারা দিনের বেলা খাওয়ার সুযোগ না থাকায় বেশিক্ষণ পানি পান করতে পারেন না। অন্যদিকে ঘাম, প্রস্রাব ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। এ কারণে শরীরে পানিশূন্যতার আশঙ্কা থাকে।
যারা রোজা পালন করেন তাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন রোজা রাখার সময় কোনোভাবেই পানিশূন্যতা না হয়। বিশেষ করে বয়স্কদের।
নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করলে তারা এই সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। পাশাপাশি কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন
সহজে হজম হয় এমন খাবার খান
ইফতারে বেশি করে ফলের রস ও ফল রাখুন
সরাসরি রোদে যাবেন না
অতিরিক্ত খাবেন না
প্রয়োজনে নারকেলের পানি বা খাবার স্যালাইন পান করুন
গ্যাস্ট্রিক বা পেপটিক আলসার: এটি একমাত্র খাবার যা গ্যাস্ট্রিক আলসার সবচেয়ে কার্যকরভাবে নিরাময় করতে পারে। ফলে গ্যাস্ট্রিক ও বদহজমের সমস্যায় ভুগতে সহজ হয়। এক্ষেত্রে পেটে ব্যথা, বুকজ্বালা, শ্বাসকষ্ট, বেলচিং, বমি বমি ভাব, ফোলাভাব ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
প্রথম এবং প্রধান কাজটি হল যে খাবারগুলি অ্যাসিডিক হয়ে যাচ্ছে বা হয়ে যাচ্ছে, যেমন ভাজা খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার ইত্যাদি খুব বেশি গ্রহণ করা উচিত নয় বা খাদ্য থেকে বাদ দেওয়া উচিত। সহজপাচ্য খাবার গ্রহণ করতে হবে। একেবারে পেট ভরা খাবার খাওয়া যাবে না। খাবার গ্রহণের পর হাঁটা উচিত। এমন কিছু করা ঠিক নয় যাতে আপনার মন খারাপ হয় বা পেটে ব্যথা হয়। আপনি কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে এই ধরনের কাজ করতে পারেন। ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু করে ঘুমানো উচিত। অ্যাসিডিটির কারণে পেটে ব্যথা হলে অ্যাসিডিটি কমানোর ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় ইফতারের পর হঠাৎ পেটে ব্যথা অনুভূত হয়, যা মারাত্মক হতে পারে। তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ইফতারের শুরুতে কখনই ভারী খাবার খাবেন না। ফল ও শরবত দিয়ে ইফতার শেষ করুন। নামাজের পর রাতের খাবার খেতে পারেন। খাওয়ার পরপরই বিছানায় যাবেন না। একটু হাঁটুন, এতে খাবার দ্রুত হজম হবে।