বাংলাদেশি পর্যটকের ভিড় না থাকায় থমকে গেছে কলকাতা নিউমার্কেটের বেচাকেনা
বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা বিধিনিষেধের কারণে কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। পর্যটকরা চলে যাওয়ায় দোকান, হোটেল, হাসপাতাল সবই খালি। তবে, পর্যটন ভিসা ছাড়া অন্যান্য বিভাগের জন্য আবেদনের নিয়মে কিছুটা শিথিলতা আনার ফলে এখন বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার মধ্যবর্তী এলাকার অর্থনীতি আগে বাংলাদেশি পর্যটকদের উপর নির্ভরশীল ছিল। কম হোটেল ভাড়া, অসংখ্য খাবারের দোকান, শপিং মল এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধার প্রাপ্যতার কারণে কলকাতার বাংলাদেশি অধ্যুষিত নিউ মার্কেট এলাকা ধীরে ধীরে বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর সেই চিত্র বদলে যায়। ভারত সরকার ১৩ আগস্ট থেকে বিশেষ বিভাগের ভিসা ছাড়া পর্যটন ভিসা বন্ধ করে দেয়। চিকিৎসা ভিসার উপরও বিধিনিষেধ ছিল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর কারণ কর্মীর অভাব এবং অতিরিক্ত ভিসা আবেদন। ভিসা নিষেধাজ্ঞা কলকাতার সামগ্রিক অর্থনীতির একটি অংশকে প্রভাবিত করেছে। বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। যদিও এ বছরের জানুয়ারী পর্যন্ত বাংলাদেশিদের দেখা যেত, তারপর থেকে এই অঞ্চলে পর্যটকের সংখ্যা ধীরে ধীরে শূন্যে নেমে এসেছে। অনেক ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক পতনের পর এক বছর কেটে গেছে। তবুও, ভারত সরকার আগের মতোই অবস্থান করছে। তাই, স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং চিকিৎসার জন্য আসা মানুষ ভিসা জটিলতার দ্রুত সমাধানের দাবি জানাচ্ছেন। জটিলতাগুলি সমাধান হয়ে গেলে, মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে প্রবেশ করতে পারবে। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। তবে, পর্যটন ভিসা ছাড়া অন্যান্য বিভাগের আবেদনের নিয়মে কিছুটা শিথিলতা আনার কারণে এখন বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং পর্যটকরা বলছেন যে গত কয়েকদিনে পর্যটকদের সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এটি হাতে গোনা। উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে ভিসা সমস্যা পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। বিশ্লেষকরা দুই প্রতিবেশী দেশের জনগণের কথা বিবেচনা করে ভিসা জটিলতার দ্রুত অবসানেরও আহ্বান জানাচ্ছেন।
