পাঁচ  দেশে বিনিয়োগের অনুমতি পাচ্ছে চার কোম্পানি

0

পাঁচটি দেশে ৯০ লাখ ডলার (৭৭ কোটি ৪০ লাখ  টাকা) নতুন বিনিয়োগ পাচ্ছে চারটি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো বিএসআরএম, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, রেনেটা এবং কলম্বিয়া গার্মেন্টস। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা কমিটির সভায় এ অনুমতি দেওয়া হয়। বৈঠকে সাতটি দেশের ছয়টি কোম্পানির বিনিয়োগের আবেদন পর্যালোচনা করা হয় এবং বিডি ভেঞ্চারসের আবেদন বাতিল করা হয়। মেঘনা গ্রুপের সোনারগাঁও সিড ক্রাশিংয়ের আবেদনটি আরও পর্যালোচনার জন্য বলা হয়েছে।

বাংলাদেশি অনেক কোম্পানি বিদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হলেও এখন পর্যন্ত কোনো নীতিমালা হয়নি। সরকার গত সপ্তাহে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করেছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে কেস টু কেস ভিত্তিতে কয়েকজন রপ্তানিকারককে অনুমতি দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এ পর্যন্ত মোট ১৭টি কোম্পানিকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে মোবাইল যমুনা ২০১৯ সালে মিয়ানমারের বিনিয়োগ ফেরত দিয়েছে। গতকালের বৈঠকটি ছিল ওই কমিটির শেষ বৈঠক। এখন যারা বিদেশে বিনিয়োগ করতে চান তাদের নতুন নিয়মের আলোকে আবেদন করতে হবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ফিলিপাইনে  ১০  ডলার বিনিয়োগের অনুমতি পেয়েছে।

কেনিয়াতে বিএসআরএম এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসেরও বিনিয়োগ রয়েছে।

গতকালের বৈঠকে আবেদনকারীদের তালিকায় ছিল মেঘনা গ্রুপের সোনারগাঁও বীজ ক্রাশিং। কোম্পানিটি সিঙ্গাপুরে ২৫,০০০ ডলার বিনিয়োগের জন্য আবেদন করেছিল। যাইহোক, আরও পর্যালোচনা সহ বিভিন্ন কারণে কোম্পানির নিজস্ব  অ্যাকাউন্ট নেই। আর বিডি ভেঞ্চারস-এর কোনো বৈদেশিক মুদ্রা আয় না হওয়ায় তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের অনুমতিক্রমে চিঠির মাধ্যমে শিগগিরই এ তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জানানো হবে।

এক্ষেত্রে আপনাকে ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রেডিং ব্যাংকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টমেন্ট বিভাগে আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য গভর্নরের নেতৃত্বে ১৫-সদস্যের উচ্চ-স্তরের নির্বাচন কমিটির কাছে পাঠানো হবে। সেখানে অনুমোদন হলে বিদেশে বিনিয়োগ করা যাবে। বিনিয়োগ এমন একটি দেশে করতে হবে যেখান থেকে প্রত্যাবাসনে কোনো বাধা নেই। যাইহোক, যেসব দেশে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ অফিসের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেখানে বিনিয়োগ করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *