আমাকে যুদ্ধাপরাধের মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে নাজেহাল করেছে: ওসমান ফারুক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক বলেন, গণঅভ্যুত্থানে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকার আমাকে যুদ্ধাপরাধের মিথ্যা মামলা দিয়ে নাজেহাল করেছে। কেউ যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ দিতে পারবে না। দলের নেতৃত্ব খালি করতেই এমন অভিযোগ করা হয়।
দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
২০১৬ সালের মে মাসে ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা হলে তিনি দেশ ছেড়ে চলে যান। ৫ আগস্ট ছাত্র অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ আট বছর পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন বিএনপির এই নেতা।
ড. ওসমান ফারুক বলেন, “শাসকরা ন্যায়বিচারের ধার ধারে না। সুযোগ পেলেই শত্রু বা যার সাথে তার মত নেই তাকে হেয় করবে। অপরাধীর বিচার হোক, কিন্তু অন্যায়। নিরপরাধ ব্যক্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ড. ফারুক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্যের ওপর জাতির সাফল্য নির্ভর করবে। বিদেশে অবস্থানকালে রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও পরিবারের প্রতি আস্থা রেখে আগামীতে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন ।
এর আগে সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কিশোরগঞ্জ করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুল ইসলাম দুলাল, সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান দুলাল শিকদার, করিমগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হারুন সরকার, উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, উপজেলা মৎস্য আহ্বায়ক মো. সেকান্দার আহমেদ ও ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আজিজুল বারী, হীরাসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।