আ.লীগের তৈরি আইন অনুযায়ী তাদের বিচার করতে হবে
পতনশীল আওয়ামী লীগের শাসনামলে যে আইন-কানুন তৈরি হয়েছিল, সে অনুযায়ী তাদের বিচার করতে বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান। ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে তার প্রাপ্য দিতে হবে। রোববার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জামায়াতের রুকন সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
জামায়াতের আমির বলেন, আমরা কারো ওপর অন্যায়-অত্যাচার চাই না। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে যে নিয়ম-কানুন তৈরি করেছিল সেগুলো দিয়ে তাদের বিচার করা উচিত। তারা বলতেন, আইন সবার জন্য সমান এবং বিচার বিভাগ স্বাধীন। সেই আইনে তারা সমান সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। তারা যেন তাদের প্রাপ্য পায়।
শফিকুর রহমান বলেন, এখন কেউ তাদের নাম নিতে সাহস পায় না। যারা তাদের দল করেন, তারাও দলের নাম নিতে চান না। কেন আমরা নিপীড়িত মানুষের কাছ থেকে তাদের নাম নিব? তিনি বলেন, নিজেদের দলকে নিষিদ্ধ করার ইতিহাস আছে। যখন তারা একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম করেছিল, তখন তারা তাদের সহ সকল দলকে নিষিদ্ধ করেছিল। এবার জনগণ তাদের দলকে নিষিদ্ধ করেছে। আমরা আশা করেছিলাম তারা শিখবে। তারা লজ্জা থেকে মুক্তির পথ বের করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারত। সেটা না করে তারা আনসার লীগ, জাস্টিস লীগ, এই দাবির লীগ, সেই দাবির লীগকে নামিয়ে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
জামায়াতের আমির বলেন, সম্প্রতি তারা অন্য রূপে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। দাড়ি রাখা, টুপি পরা। উদ্দেশ্য দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বিশ্বকে বার্তা দেওয়া- তারা যতদিন ক্ষমতায় ছিল ততদিন তারা উগ্রবাদকে বাড়তে দেয়নি। তারা এখন নেই সেখানে চরমপন্থা আছে। কিন্তু তারাই তাদের সন্তানদের হাতে হাতুড়ি তুলে দিয়েছে এবং মাথায় হেলমেট পরিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে তাদের (আওয়ামী লীগ) চেয়ে বড় উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী আর কেউ নেই। তাদের শাসন ছিল চরমপন্থা ও সন্ত্রাসে ভরপুর। জামায়াত সন্ত্রাসকে ঘৃণা করে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াতের আমির বলেন, “যারা আমাদের বাড়িঘর ধ্বংস করেছে, আমাদের সম্পদ লুট করেছে, চাকরি থেকে বহিষ্কার করেছে, আমাদের মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে। এই পরিবর্তন সত্ত্বেও আমরা তাদের ক্ষতি করিনি। আমরা বলেছি যে আমরা গঠন করতে চাই। আগামীতে ঐক্যবদ্ধ জাতি এ সময় সীমাহীন ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির।