শিগগিরই ঢাকা উত্তরে বিএনপির নতুন কমিটি
শিগগিরই নতুন নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর। নতুন এই কমিটিতে কারা থাকছেন; দলের কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে আলোচনায় রয়েছেন দলের একাধিক নেতা। গত শনিবার গভীর রাতে হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপি সাইফুল আলম নীরব ও আমিনুল হকের নেতৃত্বে দলের গুরুত্বপূর্ণ শাখা ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দেয়। তবে শিগগিরই ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এদিকে দলের উত্তর কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির নেতারাও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। যে কোনো সময় দক্ষিণ কমিটিও ভেঙে যেতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই কমিটির এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ দলের শীর্ষ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
দলটির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা জানান, কী কী অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে দলের কোনো নেতার কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। কেউ কেউ বলছেন, ব্ল্যাকমেইলসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার পর কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ নানা ঘটনা রয়েছে। উত্তরের কমিটি বিলুপ্তির পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন দলের সিনিয়র নেতারা।
সাইফুল আলম নীরব বলেন, গত ৭ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়।এই কমিটিতে আমাকে (সাইফুল আলম নীরব) আহ্বায়ক এবং আমিনুল হককে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়। এরপর থেকে প্রতিপক্ষরা আমাকে আক্রমণ করতে আসে। আমাকে ‘মানি গ্র্যাবার’ বানানোর মিশনে, যার কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি। তবে দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি সেটাকে সম্মান করি। বিলুপ্ত কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, এর মধ্যে ভালো কিছু আছে। আশা করছি শিগগিরই দল নতুন কমিটি ঘোষণা করবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তরে নতুন কমিটিতে স্থান পেতে লবিং শুরু করেছেন উচ্চাভিলাষী নেতারা।
এ অবস্থায় দলের সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, যত ভুলই হোক না কেন, সাইফুল আলম নীরব ও আমিনুল হককে নেতৃত্ব পর্যায়ে রেখে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করাই ভালো। কারণ এই দুই নেতাকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকতে হয়েছে তাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তর কমিটিতে দাতার নাম ফরহাদ হালিমের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. বিগত আন্দোলনের সময় ডোনার উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দলীয় হাইকমান্ডের কাছে সুনাম কুড়িয়েছেন। এম এ কাইয়ুমও রয়েছেন আলোচনায়। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
অপরদিকে সদস্য সচিব বা সাধারণ সম্পাদক পদে এসএম জাহাঙ্গীর, কফিল উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আখতার হোসেন, মামুন হাসান, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ফখরুল ইসলাম রবিনসহ এক ডজন নেতার নাম আলোচনায় রয়েছে।
দলটির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা জানান, এক সময় বিএনপি উত্তরাঞ্চলে কমিটি করার কথা ভাবলেও এখন আর তা নেই। যুবদল ছাত্রদলের সাবেক অনেক নেতা আছেন যারা এখনও দায়িত্ব পালনে অনড়।