মৃত্যুর আগে ফেসবুক পোস্টে যা লিখেছিলেন সাংবাদিক সারাহ
রাজধানীর হাতিরঝিলে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জি-টিভির সাংবাদিক রাহনুমা সারার (৩২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাহনুমা সারাহ জি-টিভির নিউজরুম এডিটর হিসেবে কাজ করতেন। তিনি কল্যাণপুরে থাকতেন বলে জানা গেছে। সারা নোয়াখালী ইসলামবাগ সোনাইমুড়ী উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের বখতিয়ার শিকদারের মেয়ে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘তোমার মতো বন্ধু পেয়ে আমি ধন্য। ঈশ্বর আপনাকে সর্বদা মঙ্গল করুন। আশা করি আপনার সব স্বপ্ন শীঘ্রই সত্যি হবে। আমি জানি আমরা একসঙ্গে অনেক পরিকল্পনা করেছি। দুঃখিত, আমরা আমাদের পরিকল্পনা পূরণ করতে পারছি না. আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাকে আশীর্বাদ করুন।’
তবে এর কিছুদিন আগে আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো।’
সারাহর স্বামী সায়েদ শুভ্র এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা সাত বছর আগে সম্পর্কের মাধ্যমে পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করি।গতকাল সারা অফিসে গিয়ে রাতে বাসায় না ফেরায় বাসা ভাড়ার টাকা ১০টার দিকে এক ব্যক্তিকে দিয়ে পাঠিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমি তাকে ফোন করে বললাম, তুমি যদি রাতে বাসায় আসো তাহলে অন্য কারো কাছে টাকা পাঠালে কেন? তারপর আমি ব্যস্ত আছি বলে ফোন বন্ধ করে দেয়। পরে বিকেল ৩টার দিকে হাতিরঝিল লেকের পানিতে ঝাঁপ দিয়েছেন বলে খবর পাই। পরে ডিএম এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া ছিল না। কিন্তু কিছুদিন আগে থেকে আমার স্ত্রী আলাদা হতে চায়। আমরা দুজনেই কাজী অফিসে গিয়ে ডিভোর্স নেব। দেশের এ অবস্থায় কাজী অফিসে আর যাওয়া হয়নি।
রাহনুমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পথচারী সাগর জানান, তিনি ওই নারীকে লেকের পানিতে ডুবে যেতে দেখেছেন। এরপর তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, ওই নারী আর বেঁচে নেই।