টঙ্গীতে এক ব্যক্তি নিহত, র্যাবের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ
টঙ্গীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আসাদুল ইসলাম আসাদ (৪৬) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতের পরিবার জানায়, অপারেশন চলাকালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) নির্যাতনের শিকার হয়ে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে র্যাব বলছে, ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। এ সময় ওই ব্যক্তিসহ দুই র্যাব সদস্য আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। সে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার হাসাইল গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে। তিনি তার পরিবারের সাথে এরশাদনগর ব্লক ৫ এ থাকতেন এবং একটি স্থানীয় গাড়ির গ্যারেজে কাজ করতেন। নিহতের ছেলে নিহাদ জানান, দুপুর ২টার দিকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে আসে। পরে র্যাবের ইউনিফর্ম পরে আরও কয়েকজন প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকতেই তারা মাদক সম্পর্কে জানতে চায়। এরপর বাবাকে মারধর শুরু করেন। আমার বাবাকে মারধর করার সময় আমাকে পাশের ঘরে রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, র্যাব সদস্যরা আমার বাবার কাছ থেকে তথ্য নিতে চায়, তাকে হত্যার হুমকি দেয়। তবে আমার বাবা র্যাব সদস্যদের বলেন, তিনি মাদকের সঙ্গে জড়িত নন। নির্যাতনের একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাবাকে র্যাবের গাড়িতে করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাবা মারা যান। এদিকে আসাদের মরদেহ টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে তারা এখনই কিছু বলতে পারছেন না। হাসপাতালে উপস্থিত র্যাব-১ এর সিও আবদুল্লাহ আল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, আসাদ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এমন খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা তার বাড়িতে অভিযান চালায়। তাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। দুই র্যাব সদস্যসহ আহত হয়েছেন। হাসপাতালে নেওয়ার ২০ মিনিট পর তিনি মারা যান।