মুচলেকায় জামিন পেলেন পরীমনি
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় পরীমনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলাম আদালতে শুনানি শেষে এক হাজার টাকার মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। ওই দিন সকাল সোয়া ১০টায় আদালতে হাজির হন পরীমনি। তিনি আত্মসমর্পণ করে তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন।
সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলা পরিদর্শক মোঃ মনির হোসেন ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পরীমনি ও তার পোশাক ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদি জিমির বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয় দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। গত ১৮ এপ্রিল ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত দুই আসামিকে ২৫ জুন আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।
২০২২ সালের ৬ জুলাই নাসির উদ্দিন আদালতে মামলাটি করেন। মামলার জবানবন্দিতে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা মদ্যপ। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন বিখ্যাত ক্লাবে প্রবেশ করে মদ পান করে এবং পার্সেলের সাথে মূল্য পরিশোধ করে না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন।
৯ জুন, ২০২১, মধ্যরাত ১২ এর পরে, অভিযুক্তরা সাভারের বোট ক্লাবে প্রবেশ করে এবং দ্বিতীয় তলায় ওয়াশরুম ব্যবহার করে। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে মদ পান করে। বেলা দেড়টার দিকে বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম ক্লাব থেকে বের হলে পরীমনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডেকে কিছুক্ষণ তাদের সঙ্গে বসার অনুরোধ করেন।
একপর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরুদ্দিনকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে এবং পার্সেলটিকে বিনামূল্যে এক বোতল ব্লু লেবেল মদ দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেয়। এতে বাদী রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালিগালাজ করেন। বাদী ও আসামিদের মধ্যে কথা কাটাকাটির সময় পরীমনি বাদীর দিকে একটি সার্ভিং গ্লাস ছুড়ে মারে এবং তার হাতের মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারে। নাসির উদ্দিন মাথায় ও বুকে আঘাত পান। পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেয় এবং লুটপাট চালায়।