নির্বাচিত হলে প্রথম কাজ হবে মানুষের দুর্ভোগ কমানো: তৈমুর

0

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র নির্বাচিত হলে সবার আগে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

তিনি বলেন, “আমি নাগরিক সেবা ও নাগরিকদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। নির্বাচিত হলে আমার প্রথম কাজ হবে অবাঞ্ছিত হোল্ডিং ট্যাক্স, বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ জনগণের দুর্ভোগ কমানো এবং বিভিন্ন জটিলতা।”

বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

তৈমুর আলম বলেন, “নির্বাচিত হলে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ওয়াটার ট্যাক্স কমানো হবে। ট্রেড লাইসেন্সও আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। জনগণকে হয়রানি করা হবে না, তাদের সেবা বাড়ানো হবে। যারা কঠোর পরিশ্রম করে তাদের লাথি দেওয়া যাবে না। পেট। তাদের আগে পুনর্বাসন করতে হবে তারপর উচ্ছেদ করতে হবে। পুনর্বাসন ছাড়া কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।’

এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জে আসেন তিনি। তার সঙ্গে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাও ছিলেন, যাদের বিরুদ্ধে ঘরোয়া বিরোধের অভিযোগও রয়েছে।

তৈমুর বলেন, আমাদের একটি নিরাপদ শহর গড়ে তুলতে হবে। বেলচা পড়ে মানুষ মারা যাবে, রেলগেট ভাঙ্গার কারণে যানজটে মানুষ মারা যাবে, রাস্তার অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষ মারা যাবে, যানজট থাকবে, শব্দদূষণ থাকবে, এগুলো থাকবে না। জলাবদ্ধতার অবসান হবে। ‘

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই। প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা করলে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। বাংলাদেশের একমাত্র পাওয়ার পয়েন্ট প্রধানমন্ত্রী। নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি হবে না তা নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর। ‘

“আমার পা খুব শক্ত,” তিনি যোগ করেছেন। গত পঞ্চাশ বছর ধরে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজের দুই পায়ে হাঁটছি। আমি ভীত নই. কারণ মানুষ আমার পাশে আছে। আমি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে চাই না। “

নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপি এত বড় সমাবেশ করেছে, আমি নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে যাইনি। কিন্তু আমার অভিযোগের পরও তারা আওয়ামী লীগের সমাবেশ বন্ধ করেনি। প্রতীক নিয়ে সমাবেশ হয়েছে। আমি ভয় পাচ্ছি যে তারা আমাদের সাথে দ্বিগুণ আচরণ করছে। “

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *