দীর্ঘ ৮ বছর পর জামায়াতের ইফতারে বিএনপি
দীর্ঘ আট বছর পর জামায়াতে ইসলামীর ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এর আগে গত ২৮ মার্চ রাজনীতিবিদদের সম্মানে জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম।
গত বছরের ইফতারে জামায়াতকে দাওয়াত দেয়নি বিএনপি। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ইফতারে জামায়াতে ইসলামীকে আমন্ত্রণ জানাতে দলের দুই নীতিনির্ধারণী নেতার আপত্তি ছিল। তবে জামায়াতে ইসলামীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তে এবং আজ শনিবারের জামায়াতের ইফতারে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়টিও তারই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আজ জামায়াতের ইফতারে অংশ নেওয়া বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য নেতারা হলেন ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, মিডিয়া সেলের জহির উদ্দিন স্বপন ও শায়রুল কবির খান।
এ ছাড়া এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.)অলি আহমদ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বিএলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ। আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত। বিকল্পধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী নেতারা।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২০১৫ সালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে জামায়াতের ইফতারে গিয়েছিলেন। পরের বছর, পুলিশের নিষেধাজ্ঞার কারণে জামায়াতের ইফতার বাতিল করা হয়েছিল। এরপর জামায়াতকে বড় পরিসরে ইফতার করতে দেখা যায়নি।
হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে একই টেবিলে ইফতার করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির। শফিকুর রহমান, এলডিপি সভাপতি অলি আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ।
ইফতারের আগে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও সরকারের দমন-পীড়ন তুলে ধরে এর বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
