বিএনপির কিছু করার ক্ষমতা নেই : ওবায়দুল কাদের
বিএনপির কিছু করার ক্ষমতা নেই বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন রাজনীতির কবি, তার কন্যা শেখ হাসিনা রাজনীতির জাদুকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইতিবাচক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপির রাজনীতিকে অন্ধকারে ফেলে দিয়েছে। এ থেকে তারা তাৎক্ষণিকভাবে বের হতে পারছে না।
তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ৮১টি দেশ ও ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। যারা নির্বাচনকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, নিষিদ্ধের কথা বলছে তারাও বাংলাদেশের বাস্তবতা বুঝতে পেরেছে। সেটা উপলব্ধি করে তারা এখন বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতন্ত্রের খুনি বিএনপি আজ গণতন্ত্রের জন্য কাঁদছে। সর্বস্ব হারিয়ে দলটি এখন ভারতের বিরোধিতা করতে নেমেছে। পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ভারতের বিরোধিতা এবং এখন তার কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে আবারও ভারতের বিরোধিতা শুরু হয়েছে। বিভ্রান্ত হবেন না, তাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই।’
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চায়। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কোনো এমপি-মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। প্রশাসনিকভাবে ক্ষমতায় থাকায় কোনো অবস্থাতেই তা করা হবে না। যে উদ্দেশ্যে নির্বাচন উন্মুক্ত করা হয়েছিল তা নস্যাৎ করা যাবে না। আমরা উপজেলা নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চাই।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ আলী চৌধুরী সহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এবং আ:লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক দলের নেতারা।