তুলকালাম, বিএসএমএমইউতে বিদায়ী ভিসির সমর্থকদের মারধর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে তার ব্যক্তিগত সহকারীকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে গতকাল তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগপন্থী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) শিক্ষকরা; এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও নার্সরাও অংশ নেন। একপর্যায়ে শরফুদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী চিকিৎসক রাসেল আহমেদকে চড় মেরে উপাচার্য কক্ষ থেকে বের করে দেন । বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড উইং থেকে একজনকে মারধরের খবরও পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তারা কয়েকজনকে মারধর করেছে, আমি শুনেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলব।
২৮ মার্চ উপাচার্য শরফুদ্দিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরই মধ্যে গত ১১ মার্চ বিএসএমএমইউ-এর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডীন মো. নুরুল হক।
উপাচার্য শরফুদ্দিনের বিরুদ্ধে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ‘শতাধিক’ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার বিদায়ের মুহূর্তে বিক্ষোভ করছেন স্বাচিপের বিএসএমএমইউ ইউনিটের নেতারা।
সংগঠনের চিকিৎসকদের অভিযোগ, আগের নিয়োগগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। বিদায় মুহুর্তে এ্যাডহক এর মাধ্যমে শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার থেকে বিক্ষোভ করছেন স্বাচিপের নেতারা।
নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, নিয়োগের বিষয়টি ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন সিন্ডিকেট বসার সিদ্ধান্তও আগেই নেওয়া হয়েছে। এখন যারা বিরোধিতা করছে তারা আমার কাছে আসেনি।