ভাসানচরে যাচ্ছেন আরও ৪০০ রোহিঙ্গা
অষ্টম দফায় কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ছেড়ে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে স্বেচ্ছায় ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা চলে যাচ্ছেন। শুক্রবার দুপুর ও বিকেলে প্রায় ১৪০টি রোহিঙ্গা পরিবার ১৯টি বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ ত্যাগ করে।
ভোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গারা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে পৌঁছায়। বিকেলে অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসু দ্দৌজা নয়ন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, অষ্টম পর্বে প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গার দুটি দল ভাসানচরের উদ্দেশে উখিয়া ত্যাগ করেছে। আরও বেশ কিছু রোহিঙ্গা চলে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখন কতজন আছেন তা বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে ৮-এপিবিএন-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন বলেন, অষ্টম দফায় আরও রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে ভাসানচরে চলে গেছে। সেখানে চার শতাধিক রোহিঙ্গা রয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সপ্তম দফায় প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে গেছে সরকার। গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সাগর থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভাসানচরে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (সিআইসি) প্রতিনিধি নওশের ইবনে হালিম জানান, একদল রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে ভাসানচরে চলে গেছে। মূলত রাতেই তারা চট্টগ্রাম পৌঁছাবেন। সেখান থেকে শনিবার সকালে ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার। আমরাও সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে সংখ্যাটা এখানে না পৌঁছানো পর্যন্ত বলা মুশকিল।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর জমিতে এক লাখ রোহিঙ্গার উপযোগী ১২০টি গুচ্ছ গ্রামের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।