শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেরে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি আজ বৃষ্টির কারণে ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় কিউইদের হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়ার সুযোগ ছিল টাইগারদের। তবে এই লক্ষ্যে খেলতে সফল হতে পারেনি টাইগাররা। মাউন্ট মাঙ্গানুইয়ের বে ওভালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে ব্যর্থ হন সব ব্যাটসম্যান। কিউই বোলারদের বিপক্ষে ১৯.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ১১১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেন কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেন। তানজিম সাকিবের জায়গায় আজ খেলানো হয়েছে স্পিনার তানভীর ইসলামকে। টাইগার স্পিনার বোল্ড করা প্রথম ওভারে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১০ রান নেন অ্যালেন। কিন্তু পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে উইকেট দেখেন মেহেদী।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে স্বাগতিকরা ১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৯৫ রান তোলে। তখন তারা এগিয়ে ছিল ১৭ রানে। মুষলধারে বৃষ্টি যে গ্যালারিতে দর্শকদের ধাক্কা দিয়েছিল তা ক্রিকেটারদের মাঠে ঢুকতে দেয়নি। ফলে নিউজিল্যান্ড ১৭ রানে জিতে সিরিজে সমতা আনে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ১৭ রান করে টিম সাউদির শিকার হন সৌম্য সরকার। কিউই পেসারের বল বিচ্যুত হয়ে লেগ বিফোর ফাঁদে পড়ে, আম্পায়ারের অনুরোধের বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়েও টিকতে পারেননি সৌম্য। আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে।
এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে শুরু করেন চার মেরে। অ্যাডাম মিলনের ওভারে পরপর দুটি বাউন্ডারি মেরে খেলায় কিছুটা লড়াই দেখায় বাংলাদেশ। কিন্তু চাপ কমাতে ব্যর্থ হন শান্তা। বাউন্ডারি মারতে গিয়ে মিলনকে ক্যাচ দেন পয়েন্টে। তিনি ১৫ বলে ১৭ রান করেন।
পরের ওভারে সিয়ার্সের বলে আউট হন রনি। কিউই পেসারের ইয়র্কারে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি। তার বিদায় মাত্র ১০ রান (১০ বলে)। পেস বলের পর স্পিন ফ্ল্যাশ শুরু করেন কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। এই তোপের মুখে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি আফিফ ও হৃদি। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতেই অলআউট হওয়ার আগে ১১০ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।