ধর্ষণ মামলায় পরীমনির ‘নারাজি’ আবেদন নামঞ্জুর
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পরীমনির দায়ের করা মামলায় উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক সভাপতি নাসির উ মাহমুদ ও তার সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। এর আগে অভিযোগপত্রে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নাম না থাকার বিরুদ্ধে আপিল করেন পরীমনি।
সোমবার পরীমনির আবেদন খারিজ করে দেন ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। হেমায়েত উদ্দিন অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
মামলার আরেক আসামি শাহ শহিদুল আলম পলাতক। আদালত তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ৩ মার্চের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
মামলার নথিপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আজ আদালত এ আদেশ দেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে শাহ শহিদুল আলম নামে আরেক আসামির নাম তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে গত ১৪ জুন নাসির, অমিসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন পরীমনি। একই দিন উত্তরায় অভিযান চালিয়ে নাসির ও অমিকে আটক করা হয়। নাসির ও অমিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা আরেকটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।