‘সহিংসতার দায় এড়াতে পারবেন না বিএনপির সিনিয়র নেতারা’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ দাবি করেছেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, বাসে অগ্নিসংযোগ ও অন্যান্য সহিংসতার দায় স্বীকার করেছেন বিএনপি নেতারা।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গ্রেফতারকৃত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রাথমিকভাবে রিমান্ডে হামলা ও সহিংসতায় বিএনপির সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন। পরে আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখালে তারা দুঃখ প্রকাশ করে স্বীকার করে যে, সিনিয়র নেতারা সহিংসতার দায় এড়াতে পারবেন না।
ডিবি হারুন আরও বলেন, আমরা বলেছি, আপনারা মঞ্চে ছিলেন, সমাবেশে নেতৃত্ব দেন। এছাড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সমাবেশের দিন মঞ্চে থাকা কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূমিকায় কারা। কোথায় সুলতান সালাহউদ্দিন লাঠি নিয়ে দৌড়াচ্ছেন, কোথায় রবিউল ইসলাম নয়ন আগুন দিচ্ছেন, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাঈদ মিন্টুর বাড়ি থেকে আমরা যে বারুদ পেয়েছি তা মিন্টুর স্বীকারোক্তি দিয়েছে। পরে তারা বলে, এটা ঠিক নয়।
মূল পরিকল্পনাকারী কারা জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, তারা ভাবতে পারে বাংলাদেশের কয়েকটি বিচ্ছিন্ন জায়গায় আগুন লাগলে আমরা ভয় পাবো, বা পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়বে, এটা ঠিক নয়। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়াই পুলিশ বাহিনীর কাজ। সাধারণ মানুষের চলাচলে যাতে কোনো বাধা সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।
হারুন অর রশিদ আরও বলেন, আমাদের পুলিশ, ডিবি পুলিশ, থানা পুলিশের প্রতিটি সদস্য দিনরাত ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে। ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়ায়। পুলিশ বাসে যাত্রীদের ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ধরনের কাজ করতে চাইলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এমনকি যারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ধরিয়ে দিলে পুরস্কৃত করা হবে, যা কিছুদিন আগে আমাদের ডিএমপি কমিশনার ঘোষণা করেছিলেন। নাশকতাকারী ধরা পড়লে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।