সংবাদপত্র শিল্পে সহযোগিতা প্রয়োজন: এ. কে আজাদ
নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন, সংবাদপত্র শিল্প এখন অসুস্থ। এর অন্যতম কারণ কাগজের উচ্চমূল্য। এছাড়া বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য ব্যয়ও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদপত্র শিল্পে সহযোগিতা প্রয়োজন।
সোনারগাঁওয়ে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) আয়োজিত দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে নবাবের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে।
নোয়াব সভাপতি বলেন, পত্রিকার আয় বাড়েনি, বিজ্ঞাপন কমেছে। এখন আপনাকে বিজ্ঞাপনে অনেক ছাড় দিতে হয়। পত্রিকা বিক্রি এবং বিজ্ঞাপনের জন্য প্রচুর অর্থ অবৈতনিক।
তিনি বলেন, করোনার সময় সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিলেও সংবাদপত্র শিল্পকে দেওয়া হয়নি। নোয়াব বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং মন্ত্রিপরিষদের সচিবের কাছে প্রণোদনা চেয়ে আবেদন করেছেন। খবরের কাগজের হকারদের সিটি করপোরেশন এবং পৌর মেয়রদের জায়গা চেয়ে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। সংবাদপত্র শিল্পের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ.কে. আজাদ বলেন, সংবাদপত্রকে সামগ্রিকভাবে ৩৭ শতাংশ কর দিতে হয়। যদিও অন্যান্য শিল্পে ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে। সংবাদপত্রকে বিভিন্ন খাতে ভ্যাট ছাড় দিতে হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, দ্য ফিন্যান্সিয়াল হেরাল্ডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদসহ এফবিসিসিআইয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।