কোনো ধরনের চিকিৎসাই নেন না ২১ শতাংশ হৃদরোগী

0

দেশে হৃদরোগে আক্রান্ত ২১ শতাংশ মানুষ কোনো ধরনের চিকিৎসা নিচ্ছেন না। ৫০% লোকের উচ্চ রক্তচাপ আছে কিন্তু তারা তা জানেন না। তবে সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে ৮০ শতাংশ হৃদরোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।

আজ সোমবার বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা রোগী ও তাদের স্বজনদের হৃদরোগ ও রোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু অভ্যাস গড়ে তুললে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা যায়। যেমন: ওজন নিয়ন্ত্রণ করা, প্রতিদিন ব্যায়াম করা বা হাঁটা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ত্যাগ করা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা, মানসম্মত ঘুম নিশ্চিত করা ইত্যাদি। তারা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার ওপরও জোর দেন।

এ ছাড়া আলোচনাকালে সবাইকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তারা।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা বিভাগের পরিচালক ডা. আরিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে হৃদরোগের কারণ ধূমপান। এ ছাড়া অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, স্থূলতাসহ লবণ খাওয়ার কারণে হৃদরোগী বাড়ছে।

এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং সমন্বয়কারী ড. এ.কিউ.এম.রেজা বলেন, হৃৎপিণ্ড এমন একটি অঙ্গ যা একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে মেরামত করা যায় না। বাংলাদেশে হার্ট ও ব্রেন অ্যাটাকের কারণে বেশিরভাগ রোগীর মৃত্যু হয়। আমি আজ একটি পরিসংখ্যান দেখলাম, বাংলাদেশের ২১ শতাংশ হৃদরোগী হার্ট সংক্রান্ত কোনো চিকিৎসা পান না। কারণ তারা নিজেরাও জানে না এবং চিকিৎসার সাহায্য নেয় না।

আলোচনায় অংশ নেন ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোঃ শাহবুদ্দিন তালুকদার। শামস মুনওয়ার, ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আতিকুর রহমান, ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. তামজিদ আহমেদ, হার্ট ফেইলিউর অ্যান্ড অ্যারিথমিয়া ইউনিটের সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. এম. আতাহার আলী এবং নন-ইনভেসিভ কার্ডিওলজি বিভাগের পরামর্শক ডা. নিঘাট ইসলাম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *