শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
শপথ নিলেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। সাহাবুদ্দিন।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।
শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ড. আলাকুল হোসেন আহমেদ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি গণপরিষদের সদস্য হিসেবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া প্রণয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং সংবিধান প্রণয়নের পর তাতে স্বাক্ষর করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৮৬ সালে জেলা আদালত, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন।
৩০ জুন ২০০৯-এ, তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক এবং ৬ জুন ২০১১-এ স্থায়ী বিচারক হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি বিচারপতি হাসানের নিয়মিত আইনজীবী হিসেবে ১৯৯১ সালে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক আইনজীবী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি অনেক সাংবিধানিক মামলা পরিচালনা করেছেন।
বিচারক হিসেবে যোগদানের আগে তিনি দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং সাংবিধানিক বিষয়ে একজন দক্ষ মামলাকারী হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধানমন্ডি ল কলেজে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২৫ মার্চ ২০১২ তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-II এর সদস্য হিসাবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত এর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।