বাড়িতে রাখা অজানা বস্তু, গ্রেনেড সন্দেহে পুলিশকে ফোন

0

মাদারীপুরের শিবচরে এক কৃষক পরিবারের বাসা থেকে গ্রেনেড সদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। টেলিভিশনের খবরে একটি গ্রেনেড দেখে কৃষকের সন্দেহ হয় যে বাড়ির বস্তুটি একটি গ্রেনেড। পরে পুলিশে সোপর্দ করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে ৯৯৯ নম্বরে জানানো হয়। পরে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে বস্তুটি উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।

Description of image

এর আগে ৩ জুলাই একই উপজেলার সন্ন্যাসীরচরের একটি বাসা থেকে আরেকটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয় এবং ৩১ আগস্ট বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট তা ধ্বংস করে।

পুলিশ জানায়, প্রায় ছয় মাস আগে উপজেলার ভান্ডারীকান্দি ইউনিয়নের বেপারীকান্দি গ্রামের শাহীন বেপারীর পাঁচ বছরের ছেলে সিফাত ও ইলিয়াস ফকিরের চার বছরের ছেলে সাব্বির বাড়ির পাশে খেলছিল। খেলার সময়, দক্ষিণে একটি ঝোপের মধ্যে একটি গ্রেনেড-সদৃশ বস্তু খুঁজুন। কৃষক মিজানুর বেপারীর সম্মান ছাত্রী সুমাইয়াকে শিশুরা বস্তুটি দেখায়।

সুমাইয়া জিনিসটা চিনতে না পেরে তাদের ঘরে রেখে যায়। শুক্রবার শিবচরে গ্রেনেড ধ্বংসের খবর দেখে গ্রেনেডটি চিনতে পেরেছে সুমাইয়া। পরে তার ঘরে রাখা বস্তুটি গ্রেনেড বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে শিবচর থানার পুলিশকে খবর দেন। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে ভদ্রাসন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিম রাজার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই বাড়িতে পৌঁছে গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে ভদ্রাসন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের নিরাপদ স্থানে রাখে।

ভদ্রাসন থানার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. সেলিম রেজা বলেন, ওসি স্যারের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজন গ্রেনেডের মতো একটি বস্তু দেয়। আমরা বস্তুটি উদ্ধার করে বালির বালতিতে পুঁতে ফেলি। প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে শিশুরা খেলার সময় একটি ঝোপের মধ্যে এটি দেখতে পায়। পরে মিজানুরের মেয়ে চিনতে না পেরে ওই বস্তুটি বাড়িতে রাখে। আজ টেলিভিশনে খবর দেখে তিনি গ্রেনেডটি চিনতে পেরে পুলিশকে খবর দেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।