ওসমানী হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘট, ভোগান্তি
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় লাঞ্ছিত ও হয়রানির প্রতিবাদে ধর্মঘট শুরু করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা কর্মস্থলে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না তারা।
বিভিন্ন ওয়ার্ডে মধ্যম পর্যায় থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ধর্মঘট বাতিলের বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগিরই সমাধান হবে বলে আমরা আশাবাদী। সেবায় কোনো বিঘ্ন নেই বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে সোমবার বেলা ২টার দিকে হাসপাতালে হামলার সময় আটক চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হাসপাতালের পক্ষে ওয়ার্ড মাস্টার রওশন হাবিব বাদী হয়ে এসএমপির কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন দক্ষিণ সুরমার কুচাই এলাকার আব্দুল মালিক, সাবেল আহমদ, জুবেল আহমদ ও জুয়েল আহমদ।
সোমবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমার কুচাই এলাকার ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যু হয় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে। এ সময় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনরা। তারা ওয়ার্ডের গ্লাস, চেয়ার, টেবিল, দরজা ও ইজিসি মেশিনসহ কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং চারজনকে আটক করে।
চিকিৎসক ও নার্সদের হয়রানি, লাঞ্ছিত ও ভাংচুরের প্রতিবাদে ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখার ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ‘কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা চাই’ উল্লেখ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। সোমবার রাতে পরিষদের সভাপতি মো. রাকিব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শিমন্ত মজুমদার এ ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা ধর্মঘটে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ জানান, হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে।