ফরিদপুরে প্রান্ত হত্যার।গ্রেফতার ৪ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চান মা
ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র প্রান্ত মিত্র হত্যার ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। । বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান তার বক্তব্যের পর সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রান্ত মিত্রর মা পুতুল মিত্র।
আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, আমার বাবা অন্যের উপকারে জীবন দিয়েছেন। অন্য কারো জীবন এভাবে যেতে দিও না।’ কথা বলতে বলতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন পুতুল মিত্র।
গত ২৪ জুলাই রাতে বন্ধুর বোনের জন্য রক্ত দিতে গিয়ে প্রান্ত মিত্র খুন হন। পরে তার বাবা বিকাশ মিত্র বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ হত্যার রহস্য উদঘাটনে মঙ্গলবার ছিনতাইয়ের যোগসূত্র পেয়ে ঢাকার শ্যামপুর, ফরিদপুরের মধুখালী, টেপাখোলা ও ভাজনডাঙ্গা থেকে চারজনকে আটক করে পুলিশ।
তারা হলেন ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষ্মীপুরের সজিব শেখ (২৩), মাসুম শেখ (৩৪), চরমধদিয়া ইউনিয়নের ইসরাফিল মল্লিক (৩৪) ও টেপাখোলার সিফাতুল্লাহ বেপারী (১৯)।
এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, চাপাতি, সেভেন গিয়ারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, সজীব, ইসরাফিল ও সিফাতুল্লাহ হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তারা মাসুম শেখের মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ওই রাতে আলিপুর ব্রিজের পূর্ব পাশে রাস্তার ওপর স্পিড ব্রেকার রিকশার গতি থেমে যায়। এ সময় আসামিরা মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিতে গেলে বাধা দেন প্রান্ত। সজীব তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পালিয়ে যায় আসামিরা। প্রান্ত মিত্রর রিকশাচালক জালাল মিয়াকে শনাক্ত করার পর তিনি ওই রাতের বর্ণনা দেন। ছিনতাইকে হত্যার মতো মনে হয়েছিল। অভিযুক্তকে শনাক্ত করেন রিকশাচালক।
তিনি আরও বলেন, হত্যার পর আসামিরা জেলা জাকের পার্টির সভাপতি জাদু মিয়াকে বাদামতলী সড়ক, ঝিলটুলি পুরাতন পাসপোর্ট অফিস মোড় ইমাম ও তেঁতুলতলা মান্নান হেরিটেজের এক সবজি বিক্রেতার সামনে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। .
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কারাগারে সজিব, ইসরাফিল ও সিফাতুল্লাহর বন্ধুত্ব হয়। সজীবের বিরুদ্ধে ছয়টি ও ইসরাফিলের বিরুদ্ধে নয়টি মামলা রয়েছে। তারা মাদক ও যৌনপল্লিতে ফুর্তির জন্য ছিনতাই করত।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম হোসেন জানান, হত্যা মামলায় জবানবন্দি রেকর্ড করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।