দুর্বৃত্তরা গলা কেটে লাশ চেয়ারে বসিয়ে রেখে যায়

0

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দুলাল চন্দ্র দাস (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার লাশ চেয়ারে বসিয়ে  রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

শনিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার টঙ্গীর গ্রামের দীঘির পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুলাল উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় এলাকার চন্দ্র দাসের ছেলে. তিনি স্থানীয় ছয়ানি বাজারে ক্রোকারিজ ব্যবসা করতেন এবং টঙ্গীরপাড় কালী মন্দিরের কাছে একটি দীঘি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করতেন।

শনিবার সকাল ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীঘি দুলাল বাড়ির পাশেই ইজারা। এ জন্য তিনি প্রতি রাতে লেকের পাড়ে বসে মাছ পাহারা দিতেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও দুলাল মাছ পাহারা দিতে যান। এ সময় তাকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা লাশ একটি চেয়ারে রেখে পালিয়ে যায়। রাত  সাড়ে তিনটার দিকে একই বাড়ির এক ব্যক্তি মাছ ধরার জন্য জাল নিতে দুলালের কাছে দীঘির পাড়ে যান। এরপর দুলালের নাম ধরে ডাকলেও কোনো সাড়া পাননি। এক পর্যায়ে চেয়ারে  থাকা দুলালের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।

দুলালের প্রতিবেশী জয় ভূঁইয়া জানান, টঙ্গীরপাড় গ্রাম একটি ভয়ঙ্কর এলাকা। এখানে মাদক, জুয়াসহ সব ধরনের অপরাধ হয়। দুলাল রাত জেগে পুকুরে মাছ পাহারা দেওয়ার কারণে এলাকায় অপরাধ কমে গেছে।

তিনি বলেন, দুর্বৃত্তদের অপকর্মের কারণে দুল্লাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, দুলালকে মাথা থেকে মুখ ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজীব জানান, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে। নিহতের পরিবার, প্রতিবেশী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *