কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার প্রশংসা
কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি আজ বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী। মঙ্গলবার কাতারের দোহায় র্যাফেলস টাওয়ারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী তাকে (শেখ হাসিনা) বলেছেন যে তারা (কাতার) বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নয়ন করতে চায়। বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনার জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, বাংলাদেশ কাতার থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি কেনে। আমরা চাই আপনি আমাদের জ্বালানি দিয়ে সাহায্য করুন।’
জবাবে মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বলেন, তারা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কাতার বাংলাদেশের জন্য যতটা সম্ভব করবে।
২০২৩ ফিফা বিশ্বকাপের পর কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা প্রসঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা তাদের সম্পদ ও বন্ধুবান্ধব রাখবে এবং কাতার তাদের যতটা সম্ভব তাদের দেশে রাখবে।
পরে কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে অতিরিক্ত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের বিষয়ে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. মোমেন বলেন, শেখ হাসিনা কাতার থেকে বেশি পরিমাণে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য যত দ্রুত সম্ভব একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছেন। কাতার থেকে এলএনজি আমদানির জন্য ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত একটি বিদ্যমান ১৫-বছরের চুক্তি ২০৩২ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, তবে ২০২৫ সালের পরে আরও বেশি পরিমাণে জ্বালানি পেতে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দর কষাকষির বিষয়গুলো সমাধান করে অবিলম্বে চুক্তিতে সই করতে বলেছেন। বাংলাদেশকে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ এবং কঠিন সময়ে কাতারের পাশে দাঁড়ানো দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা (কাতার) প্রতিশ্রুতি দেয় যে তারা চুক্তি স্বাক্ষরের সময় কাতারের জন্য সম্ভাব্য সব ছাড় বিবেচনা করবে।