বেড়াতে গিয়ে বারবার ধর্ষণের শিকার কিশোরী

0

 টাঙ্গাইলের মধুপুরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সাতক্ষীরা থেকে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ভিকটিম দাবি করেছেন, গত শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চারজন তাকে অন্তত পাঁচবার ধর্ষণ করেছে। শনিবার সকালে মেয়েটি মধুপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাগাডোবা গ্রামের সজিব মিয়া, কৈলাকুড়ি গ্রামের হাফিজুর রহমান, জামালপুর সদরের রশিদপুর ক্ষেত্রপাড়া গ্রামের মামুন মিয়া ও রশিদপুর ভাটিপাড়ার হাফিজুল ইসলাম। মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাগডোবা গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে নাজমুল হোসেনের বন্ধু। গ্রেফতারকৃতরা নাজমুল হোসেনের আত্মীয় ও পরিচিতজন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত শুক্রবার বিকেলে মধুপুর যাওয়ার পথে বন্ধু নাজমুলের চাচাতো ভাই সজিব ও হাফিজুর মোটরসাইকেলে জামালপুরের রশিদপুর মোড় থেকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায়। তারা মেয়েকে নাজমুলের বাড়িতে না নিয়ে বিভিন্ন দিকে ঘুরে বেড়ায়। বিকেলে মধুপুর উপজেলার চাঁদপুর রাবার বাগানের কালাপাহাড় এলাকার জঙ্গলে ওই ছাত্রীকে নিয়ে ধর্ষণ করে দুই ব্যক্তি। তার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনা প্রকাশ করলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় তারা আবার মেয়েটিকে মোবাইল নিয়ে রশিদপুর মোড়ে ছেড়ে দেয়। নাজমুল বিষয়টি জানিয়ে মেয়েকে অপেক্ষা করতে বলেন। এ সময় বাজারে অবস্থানরত মামুন নামের এক ব্যক্তি সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। মামুন মেয়েটিকে সাতক্ষীরা পাঠানোর কথা বলে দিগপাইত এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে খাওয়ার সময় নাজমুল ফোন করে মেয়েটির অবস্থান জেনে রশিদপুরে ফিরে আসতে বলেন। মামুন মেয়েটিকে আবার একটি অটোরিকশায় নিয়ে রশিদপুর ফেরার পথে একটি বাড়িতে প্রবেশ করে। ওই বাড়ি থেকে যোগ দেন হাফিজুল। ওই কিশোরীকে সরদারবাড়ি এলাকার একটি ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়ে পায়ে হেঁটে রশিদপুর নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করে দুই ব্যক্তি। তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে সুইচ অফ করে দেয়। পরে তারা তাকে রশিদপুর-তুলসীপুর সড়কে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেয়। ভিকটিম নাজমুলের সঙ্গে ফোনে কথা বলে তার অবস্থান জানান। নাজমুল একটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মধুপুরের ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আলীর কাছে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যান দ্রুত তাদের থানায় পাঠান।

শনিবার সকালে ধর্ষিতা নাজমুলকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। মধুপুর থানার ওসি মাজহারুল আমিন জানান, মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারকৃতদের বিচ্ছিন্ন করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *