১৯-২০ এপ্রিলের দিকে হালকা বৃষ্টির আভাস
দুই সপ্তাহ বৃষ্টিহীন দেশ। তাপ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বৈশাখের উষ্ণতা আর থামছে না। তাপ ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। ১২ দিনের ব্যবধানে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর তাপমাত্রা গড়ে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
মরুভূমির মতো জলবায়ুতে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষ। রোববার যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা জানান, রোববার ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ছে। এমন তাপ আরও দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তিনি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় তাপমাত্রা বাড়ছে। এখন দু-একদিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময় অসহ্য গরমে যেতে হয়। সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টি হচ্ছে।
এপ্রিলের দুই সপ্তাহ ধরে দেশের কোথাও হালকা বৃষ্টি নেই। গত ১ ও ২ এপ্রিল ঢাকায় প্রায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ২ ও ৪ এপ্রিল ঢাকার বাইরে কয়েকটি এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। গত ৪ এপ্রিল সিলেটে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, দুই দিনে তাপমাত্রা কমবে এবং আর্দ্রতা বাড়বে। এতে শরীর ঘামবে। তাপমাত্রা কমলেও গরমে অস্বস্তি আরও বাড়বে। ১৯-২০ এপ্রিলের কাছাকাছি হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী সপ্তাহে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, এ ধরনের তাপ আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের মেঘালয় পর্বত-সংলগ্ন জেলাগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২১শে এপ্রিল মধ্যরাত। আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলগুলি ২৩ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত সারা দেশে শক্তিশালী বজ্রঝড়, প্রচণ্ড বজ্রবৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা নির্দেশ করে।