নিপাহ ভাইরাসের উপসর্গে শ্বশুরের পর পুত্রবধূর মৃত্যু, শাশুড়িও চিকিৎসাধীন
নওগাঁর মান্দায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পুত্রবধূ ফরিদা বেগম (৩০) মারা গেছেন। বুধবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। শাশুড়ি রহিমা বেগম (৬৫) একই হাসপাতালের নিপাহ ভাইরাস ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
ফরিদা বেগম মান্দা উপজেলার কশব ইউনিয়নের চকচোয়ার গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি একই উপসর্গ নিয়ে তার শ্বশুর আবদুল হক মারা যান।
ফরিদার স্বামী আব্দুল খালেক জানান, ফরিদার শরীরে সর্দি-জ্বরসহ নানা উপসর্গ রয়েছে। অসুস্থতার কারণে ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি খালেকের বাবা আবদুল হক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এছাড়া তার মা রহিমা বেগম (৫৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের কেউ কাঁচা খেজুরের রস খাননি। কিন্তু খেজুর গুড় দিয়ে বানানো পিঠা খেয়েছি। তবে তিনি কীভাবে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তা বলতে পারছি না।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জাহেদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বর্তমানে রহিমা নামের এক নারী উপসর্গ নিয়ে নিপাহ ভাইরাস ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। তিনি নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা জানতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায় নাই।
এ বিষয়ে নওগাঁ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-সিভিল সার্জন মনির আলী আকন্দ বলেন, গত ৬ জানুয়ারি নওগাঁ সদর উপজেলার বাওয়ালিয়া মহল্লার আকতারন বিবি (৫১) ও জেলার মান্দা উপজেলার চকচোয়ার গ্রামের ফরিদা বেগম নামে এক নারী। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এছাড়া ফরিদার শ্বশুর আবদুল হকও নিপাহ ভাইরাসে মারা গেছেন এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।