হবিগঞ্জের দেবিদ্বার থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার, গ্রেফতার ২

0

Description of image

কুমিল্লার দেবিদ্বার থেকে আবদুল্লাহ আল মামুন (৭) নামে এক শিশু অপহরণের দুই দিন পর হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার একটি বাজার থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার রাতে এ ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যায় তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গ্রেফতারকৃত দুইজন কিশোরগঞ্জের ইটনার মৃত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে। আবুল কাশেম (৪৫) ও তার স্ত্রী মুসা। সামিয়া আক্তার (৩০)। উদ্ধারকৃত আল মামুন ওই উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের ছেপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুস সামাদের ছেলে।

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে হবিগঞ্জের আবুল বাশার নামে এক শ্রমিক নিহত হন। দিনমজুরির জন্য কৃষি জমিতে কাজ করতে আসেন সামাদ। রাতে কাজ শেষে তিনি শ্যালো মেশিন রুমে ঘুমাতেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাশার গৃহকর্তা সামাদ আবদুল্লাহ আল মামুনের শিশুপুত্রকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় ওই শ্রমিক। খোঁজ না পেয়ে তিনি গত শুক্রবার দেবিদ্বার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন জেলায় অভিযান শুরু করে পুলিশ।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল হাসান জানান, অভিযুক্ত আবুল বাশারকে প্রথমে শনাক্ত করা হয়। খুব চালাক ব্যক্তি হওয়ার কারণে বাশার ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করে। তিনি প্রথমে শিশুটিকে গাজীপুরের টঙ্গীতে তার বোনের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অভিযান চালানো হলে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। একপর্যায়ে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের পিটুয়ারকান্দি গ্রামে পৈতৃক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশু আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করা হয়। পরে সেখান থেকে শিশুটিকে দেবিদ্বারে নিয়ে আসা হয়।

এসআই নাজমুল জানান, অপহরণে সহায়তার অভিযোগে টঙ্গী থেকে কিশোরগঞ্জের ইটনার মো. আবুল কাশেম (৪৫) ও তার স্ত্রী সামিয়া আক্তারকে (৩০) আটক করা হয়। রোববার দুপুরে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হলেও প্রধান আসামি আবুল বাশা পলাতক রয়েছে। শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।