সিলেটে নর্থ ইস্ট মেডিকেলের শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ সুরমার সুমাইয়া কমপ্লেক্সের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় পুলিশের সহকারী কমিশনার মাইন উদ্দিন আহত হয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদীপ দাস এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুমাইয়া কমপ্লেক্সের নিচতলায় বাদশা টেলিকম নামের একটি মোবাইল রিচার্জের দোকানে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রী তার মোবাইল ফোন রিচার্জ করে। এ সময় দোকানের কর্মচারী রিপন আহমদ তার সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী কমিশনার (এসি) মাইন উদ্দিন আহত হয়েছেন। এছাড়া মাইক্রোবাস, অটোরিকশাসহ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ থামাতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বৈঠকে বসেছেন বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাদশা টেলিকমের কর্মচারী রিপনকে প্রথমে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। কিন্তু তারপরও ছাত্ররা হামলা চালায়। শিক্ষার্থীরা তাদের মার্কেটের অনেক দোকান ভাংচুর করে। এখন তারা বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।