‘শিশুরা তো কোনো ক্ষতি করেনি, কেন মেরে ফেলা হলো?’

0

থাইল্যান্ডে হামলার শিকার শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের সামনে ৬৪ বছর বয়সী এক নারী ব্যাগ নিয়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটছিলেন। ডুয়াংফান প্যাটফাওথানুন নামে এক নারী একজন ব্যক্তির কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন তিনি কখন তার নাতিকে দেখতে পাবেন। তার হাতে থাকা খেলনা ভর্তি ব্যাগটা দেখিয়ে বলল, ‘আমি কি আমার নাতির পছন্দের খেলনা তার কফিনে রাখতে পারি?’

ডুয়াংফান প্যাটফাওথানুনের মতো আরও অনেকে তাদের প্রিয় সন্তান, নাতি-নাতনি এবং ভাগ্নেদের শেষবারের মতো দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

২৭ বছর বয়সী নালিওয়ান ডুংক্ষেত, যিনি তার ভাগ্নেকে একবার দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তিনি রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন, ‘বাচ্চারা তো কোনো ক্ষতি করেনি, কেন তাদের হত্যা করা হলো?’ তিনি জানান, এক মাস পর তার ভাগ্নের তৃতীয় জন্মদিন।

বৃহস্পতিবার, থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নং বুয়া লাম্পু প্রদেশের উথাই সাওয়ান শহরে একটি ডে কেয়ার সেন্টারে হামলায় ২৩ শিশুসহ ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

থাই প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান-ওচা শিশু যত্ন কেন্দ্রে গুলি চালানোকে ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি আহতদের জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সব সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয় পুলিশ বলছে, হামলার পর খুনি পানিয়া কামরব (৩৪) দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্ত্রী ও তার প্রাক্তন স্ত্রীর সন্তানকে হত্যার পর সে নিজেকে গুলি করে হত্যা করে।

পুলিশ জানায়, হামলার উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি। তবে মাদক সেবনের অভিযোগে গত জুনে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *