পৃথক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক নারীসহ দুইজন নিহত
বগুড়ার আদমদীঘি ও সদরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক নারীসহ দুইজন নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে আদমদীঘির ইন্তেহাদ প্লাস্টিক কারখানার সামনে এবং বগুড়া সদরের বারপুর এলাকায় এই দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। আজ রবিবার, সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, দুজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতরা হলেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের কাশিমালা গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনের ছেলে রহিম হোসেন (১৮) এবং শিবগঞ্জ উপজেলার আটলাই দরপাড়ার আবু তালেবের স্ত্রী শান্তা ইসলাম (২৪)।
আহতরা হলেন জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার পুরঘর গ্রামের লিটন হোসেনের ছেলে তৌফিক হোসেন এবং একই গ্রামের জুয়েল হোসেনের ছেলে রহিম উদ্দিন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাতে মাদ্রাসা ছাত্র রহিম হোসেন তার বন্ধু তৌফিক ও রহিমকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে সান্তাহার থেকে আদমদীঘিতে ফিরছিল। পথে বগুড়া-নওগাঁ সড়কের ইন্তেহাদ প্লাস্টিক কারখানায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সাথে তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মোটরসাইকেলে থাকা তিন বন্ধু রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত রহিম হোসেন ও তৌফিক হোসেনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (এসএইচজেএমইসি) হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক রহিম হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। আদমদীঘি থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গতকাল রাত সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া সদরের বারোপুর এলাকায় একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা গৃহবধূ শান্তা ইসলাম গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেছ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ আলম জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত গৃহবধূর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সড়ক পরিবহন আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
