দক্ষিণ সুদানে ‘সেনাবাহিনীর’ বিমান হামলায় ৪০ জন নিহত
দক্ষিণ সুদানের দক্ষিণ কর্ডোফান অঞ্চলে এক ভয়াবহ বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছেন। গত শনিবার (৩০ নভেম্বর) কোমো গ্রামে এই হামলাটি ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে এএফপি সংবাদ সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে। নিহতদের দাফনে অংশ নেওয়া দুই ব্যক্তি গতকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মানবাধিকার সংস্থা ‘ইমার্জেন্সি লয়ার্স’ জানিয়েছে যে, সেনাবাহিনীর পরিচালিত বিমান হামলা সরাসরি গ্রামের একটি নার্সিং স্কুলে আঘাত হানে। এই হামলায় কয়েক ডজন শিক্ষার্থী এবং অনেক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
হাইবান গ্রামের বাসিন্দা কাফি কালু বলেন, “আমি যখন বিমান হামলার খবর পাই, তখন আমি সেখানে যাই। যখন আমি যাই, তখন নার্সিং স্কুলে আগুন জ্বলতে দেখি। সবাই আগুন নেভানোর এবং মৃতদেহ দাফনের চেষ্টা করছিল। প্রায় ৪০ জনকে কবর দিতে হয়েছিল।”আরেক বাসিন্দা তিহ ইসা বলেন, “আমরা ৪০টিরও বেশি কবর খনন করেছি। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক ছিল।”
তবে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন যে, সেনাবাহিনী কখনও বেসামরিক লোকদের উপর আক্রমণ করে না। যদিও ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে চলমান সংঘাতে সেনাবাহিনীর হামলায় বেসামরিক লোক হতাহতের অভিযোগ বারবার উঠেছে।
দক্ষিণ সুদানে, আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং তাদের মিত্র সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ বর্তমানে দারফুর এবং দক্ষিণ কর্দোফানের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছেন যে, শুধুমাত্র নভেম্বর মাসেই নিরাপত্তাহীনতার কারণে দক্ষিণ কর্দোফানের ছোট ছোট গ্রাম থেকে প্রায় ৫,০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সূত্র: আল আরাবিয়া
