ডিসেম্বর 15, 2025

জামাত সম্পর্কে রুমিন ফারহানার বিস্ফোরক মন্তব্য

Untitled design - 2025-09-17T160655.105

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, যদি জামাতে ইসলামী কাউকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে, এরা যেভাবে আক্রমণ করবে বাংলাদেশের অন্য কোনও দল তাদের উপর সেভাবে আক্রমণ করবে না। সম্প্রতি একটি টকশোতে উপস্থিত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জামাত কাউকে তাদের জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে, তাদের নির্মূল করার জন্য আক্রমণ করে, এই কথা উল্লেখ করে রুমিন বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত সম্পর্কে আমাদের কিছু বিষয় বুঝতে হবে। এটি একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত দল।
একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত দল। জামাতের সকল কর্মী, সমর্থক এবং ভোটারই প্রাণঘাতী। তারা দলের জন্য বাঁচতে বা মরতে পারে। দলের জন্য যেকোনো কিছু করতে পারে।
ভালো-মন্দ দিয়ে তাদের বিচার করা হয় না। তারা দলের আদেশ মেনে চলবে। অনেকটা আমাদের সেনাবাহিনীর মতো। বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী যে প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যায়, জামায়াত তার সাথে অনেকটা মিল এবং জামাতের আমির কয়েকদিন আগে বলেছিলেন যে, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এবং আমরা খুব সুসংগঠিত।
তাই যদি তারা সম্মিলিতভাবে শত্রু শনাক্ত করতে পারে, তাহলে তারা তাকে আক্রমণ করবে যেভাবে বাংলাদেশের অন্য কোনও রাজনৈতিক দল তা করবে না।’
বর্তমানে, রাজনীতিতে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচুর প্রভাব রয়েছে। এবং এখানেও রুমিন ফারহানা জামায়াতকে এগিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির এখন দুটি ক্ষেত্র রয়েছে। একটি হল প্রচলিত ক্ষেত্র।
যে ক্ষেত্রটিতে আমরা লড়াই করি। আমরা জনসভা এবং আন্দোলন করি। যেখান থেকে আমাদের ধরা পড়ে জেলে নিক্ষেপ করা হয়। অন্যটি হল সোশ্যাল মিডিয়ার ডিজিটাল ক্ষেত্র। ডিজিটাল ক্ষেত্রটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোপরি, ৫০,০০০ থেকে ১০০,০০০ মানুষ আমার জনসভায় যোগ দেবে এবং আমার একটি ডিজিটাল কন্টেন্ট মুহূর্তের মধ্যে ১০,০০০,০০০ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। তাই ডিজিটাল ক্ষেত্রটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, জামায়াত কীভাবে তার বিরোধীদের আক্রমণ করে অথবা যাদেরকে তারা ডিজিটাল ক্ষেত্রে তার রাজনৈতিক বক্তব্যের জন্য হুমকি বলে মনে করে। তাদের অসংখ্য বট আইডি রয়েছে এবং সেগুলি দিয়ে তারা যেকোনো ভাষায় একজন ব্যক্তিকে আক্রমণ করতে পারে। তারা যেকোনো বিষয়ে কুৎসিত মন্তব্য করতে পারে।’ জামায়াতের কোনও রাজনৈতিক শিষ্টাচার নেই উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার আসলে এখন অনেক দূরের বিষয়। উদাহরণস্বরূপ, আমি কি সংসদে জামায়াতের ব্যাপারে বলিনি যে জামায়াতের অবস্থা এমন হয়ে গেছে যে তাদের উপর একটা লেবেল চাপিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা উচিত। সভ্য দেশে এটা হতে পারে না। তবুও এটা ঘটেছে। তাই যখন আমি তাদের খারাপ সময়ে তাদের পক্ষে কথা বলেছিলাম, তখন তারা সেটা মনে রাখেনি। এখন যদি আমার কোনও বক্তব্য বা বক্তব্য সঠিক হয় এবং তারা জাতীয় পার্টির কোনও রাজনীতিকে জামায়াতের জন্য হুমকি বলে মনে করে, তাহলে তারা তাদের অবিলম্বে নির্মূল করার বা সম্পূর্ণরূপে মাটিতে পুঁতে ফেলার বিষয়ে দুবার ভাববে না।’

Description of image