ডিসেম্বর 16, 2025

ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়ি ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৭

Untitled design - 2025-08-27T142133.725

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাতি চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলেন সোহাগ মণ্ডল, মিন্টু, মোশাররফ, জসিম, আমিনুল, আনোয়ার এবং ময়নাল। আজ (২৭ আগস্ট) বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনের ভিত্তিতে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিকালে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান যে, ১৮ আগস্ট ভোরে ঘাটাইলের চকপাকুটিয়ার স্বর্ণকার অমল বণিকের বাড়িতে নৃশংস ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১০-১২ জন অজ্ঞাত অস্ত্রধারী অমল বণিকের মা কৃষ্ণা রানীকে হত্যার হুমকি দেয় এবং নগদ টাকা, সোনার অলংকার, রূপার অলংকার, পিতলের মূর্তি এবং মোবাইল সেট সহ ৬ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় অমল বাধা দিলে ডাকাতরা বাদীর হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে বাদীর বাম কব্জিতে আঘাত করে, যার ফলে রক্ত ​​ও জখম হয়। এ সময় এলাকার লোকজন অমলের চিৎকার শুনে ডাকাতরা পটকা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে, অমল বণিক বাদী হিসেবে অভিযোগ দায়ের করলে, ২৪শে আগস্ট রাতে কালিয়াকৈরের সফিপুর থেকে ডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য মো. সোহাগ মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং লুট হওয়া ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানো হলে, সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান আরও বলেন, ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার এবং লুট করা মালামাল উদ্ধারের জন্য একযোগে অভিযান চালানো হয়। পরে আসামি এবং গুপ্তচরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার নেত্রকোনার কেন্দুয়া থেকে এই ডাকাতির ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিন্টুর সাক্ষ্য অনুযায়ী, গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ি থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং লুট হওয়া জিনিসপত্র (সোনা ও রূপা) উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা একটি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে সংগঠিতভাবে ডাকাতি করে আসছে।

Description of image