বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুল বানানের ছড়াছড়ি

0

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে অধিকাংশ বিজ্ঞপ্তি, অফিস আদেশ, চিঠিপত্র ও ভুল বানান যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

গত ৫ বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিজ্ঞপ্তি, অফিস আদেশ, চিঠিপত্রসহ ভুল বাংলা বানানের প্রয়োগ দেখা গেছে। এমনকি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত শেষ ১০০টি নোটিশের বেশিরভাগই ভুল বানান রয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে প্রকাশিত বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে ১৫টির বেশি বানান ভুল ছিল। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাস্যরস তৈরি হয়। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতেও বানান ভুলের উদাহরণ রয়েছে।

জাতির পিতার নামে স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক জায়গায় বঙ্গবন্ধুর নাম ভুল করা হয়েছে । এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষাবিদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে বাংলা বানান ভুল করে থাকেন। অনেকেই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেন না। কিন্তু শিক্ষার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ ধরনের ভুল নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

গত বছরের ২৫ নভেম্বর প্রকাশিত বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী অধ্যাপকের বানান লেখা হয় ‘সহকারী’, মার্কশিটে লেখা হয় ‘মার্কশিট’, সনদ লেখা হয় ‘প্রুফ সার্টিফিকেট’, ডিগ্রি লেখা হয় ‘প্রুফ সার্টিফিকেট’। ‘ডিগ্রী’, ‘চাকরি’ লেখা নেই ‘চাকরি’ ইত্যাদি। একই বছরের ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের বানান ভুল দেখা যায়। সেই বিস্মৃত প্রজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্থলে লেখা হয়েছে ‘শেখ মুজিবুর রহমান’। এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে আরও অনেক ভুল রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে লেখা বঙ্গবন্ধুর নামটিও ভুল । এছাড়া কিছু নোটিফিকেশন পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বাকি বানানগুলোকে ‘rest’ লেখা হয়েছে, সার্ভিস লেখা হয়েছে ‘পরিষেবা’, শ্রেণীকে ‘শ্রেণি’, গৃহীত হয়েছে ‘স্বীকৃত’। অন্যদিকে প্রথা অনুযায়ী ইংরেজি বানানের ইংরেজি প্রতিবর্ণীকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক জারিকৃত চিঠি, অফিস আদেশ ও বিজ্ঞপ্তির ৯৫ শতাংশেই কিছু ত্রুটি রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলা বানানের অপপ্রয়োগ এখানে কাম্য নয়। বাংলা ভাষার জন্য এদেশের মানুষ রক্ত ​​দিয়েছে। এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলা বানানের অপব্যবহার হতাশাজনক। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (ইএসডি) বিভাগের শিক্ষার্থী শফিউল কায়েস বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকের মন্তব্যে অসংখ্য ভুল বানান রয়েছে। সঠিক বানান জানা জরুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *