শাবি শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙালেন জাফর ইকবাল

0

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক অধ্যাপকের পদত্যাগের দাবিতে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। পানি পান করে শিক্ষার্থীদের সপ্তাহব্যাপী অনশন ভাঙালেন জনপ্রিয় এই লেখক। তবে আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হকের উপস্থিতিতে অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে অনশন ভাঙতে অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীরাও হাসপাতাল থেকে ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন, অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ইয়াসমিন হক অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে ক্যাম্পাসে আসবেন। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরে বুধবার ভোর ৪টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন অধ্যাপক জাফর ইকবাল। ক্যাম্পাসে এলে প্রথমে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে যান এবং তাদের কথা শুনেন। পরে তিনি শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙতে রাজি হয়ে আজ সকালে অনশন ভাঙার প্রতিশ্রুতি দেন।

এদিকে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে অনশনরত ছাত্র শাহরিয়ার আবেদীন বলেন, আমাদের কমরেডরা এ অবস্থা দেখে অনশন ভাঙার অনুরোধ করেন। কিন্তু আমরা অনশনরত ছাত্ররা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা ধর্মঘট ভাঙব না। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাব।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও খাদ্য পরিষেবা নিশ্চিত করতে তহবিল সংগ্রহের অ্যাকাউন্টে অর্থ দেওয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে আটকের নিন্দা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে আমাদের ক্যাম্পাসে বড় ভাইদের সহযোগিতা প্রয়োজন। এখন চিকিৎসা ও খাদ্যের মতো আমাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে সহযোগিতা করা অন্যায় নয়। আমরা বড় ভাইদের আটকের নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করছি।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভিসি বিরোধী আন্দোলনের নেতা মোহাইমিনুল বাশার বলেন, আমাদের কমরেডদের কষ্ট আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা তাদের মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিতে চাই না। তাই আন্দোলনের জায়গা থেকেই অনশন ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনশন ভাঙার সিদ্ধান্ত হলেও আমরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *