ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত
ঘন কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে তিন যানবাহনের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
সোমবার সকাল ৬টার দিকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের কুচিয়ামোড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হাসরা হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল ৬টার দিকে মাওয়া থেকে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকারকে একটি পিকআপ ট্রাক ধাক্কা দেয়। পরে দুই পক্ষ কথা বলার সময় আরেকটি মালবাহী ট্রাক এসে তাদের ধাক্কা দেয়। এ সময় প্রাইভেটকার থেকে নেমে পান্না রানী দাস (৪০) নামে এক নারী সড়কের রেলিং দিয়ে পিষ্ট হয়ে নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। পরে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শ্রীনগর উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, মাওয়া থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকাগামী লেনে যানবাহনের বেপরোয়া গতি ও ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের গুদাম পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ঘন কুয়াশার কারণে এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। আমরা খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” ”
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, প্রাইভেটকারে যারা ছিলেন তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। রাতে তারা মাওয়া এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিল। ফেরার পথে কুচিয়ামোড়া এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত পান্না রানী দাসসহ প্রাইভেটকারে থাকা সবাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার তাতিবাজারে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।
এর আগে রোববার ভোর ৪টার দিকে দুটি পণ্যবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দুটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একে অপরকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। একই সময়ে একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি প্রাইভেটকারকে চাপা দেয়, এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।