শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ স্কুলঘর বর্ণমালার প্রাণী সৌরজগত
বারান্দায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা রঙের আলপনা। শুধু কি একটা বারান্দা! স্কুলের সীমানা প্রাচীর, শ্রেণীকক্ষের দেয়াল, ছাদ এমনকি মেঝে পর্যন্ত এতটাই আঁকাবাঁকা! বিভিন্ন প্রাণী এবং বর্ণমালা বিভিন্ন রঙে হাজির হয়েছে। সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ, প্রাকৃতিক জগৎ, পিরামিডের বুকে প্রয়োজনীয় খাবারের তালিকা—এসবই রঙে রাঙানো। শিশুদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিকাশ করতে হবে; বিশ্লেষণাত্মক চিন্তার ক্ষমতা বাড়াতে হবে। তাই খুলনার দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষামূলক ও সৃজনশীল ম্যুরাল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীর আয়োজন করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুব) আরবান অ্যান্ড রুরাল প্ল্যানিং (ইউআরপি) ডিসিপ্লিন। প্রদর্শনীটি সেন্টার ফর সাসটেইনেবল, হেলদি অ্যান্ড লার্নিং সিটিস অ্যান্ড নেবারহুডস (SHLC) দ্বারা একটি আন্তঃরাজ্য গবেষণা প্রকল্পের অংশ। সোমবার সকাল ১০টায় নগরীর এরশাদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সকাল ১১টায় ইসলামপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এর উদ্বোধন করা হয়। প্রদর্শনীতে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ তানজিল সওগাত, ইন-কান্ট্রি কো-ইনভেস্টিগেটর অফ এসএইচএলসি প্রজেক্ট ও খুবির ইউআরপি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান তালুকদার উদ্বোধন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক খুবির এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কাউকে পিছিয়ে না রেখে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রকল্প পরিচালক ও ইউআরপি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিল্পীর পরিবেশনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাদিকুর রহমান খান ও এরশাদ আলী স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সামছুল আলম মিয়া স্বপন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী রিতু আক্তার বলেন, এখন থেকে আমরা খেলা শিখব। উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং নগরায়ণ সমস্যা চিহ্নিত করতে এবং তাদের টেকসই সমাধানের জন্য চার বছর ধরে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, খুলনায় প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের শিশুদের সক্রিয় শিক্ষার উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য বিদ্যালয়ে শিশুদের জন্য ম্যুরাল এবং দুই মাসব্যাপী ছবি আঁকার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এসব চিত্রকর্মে শিশুরা তাদের এলাকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নগরায়ন সমস্যা তুলে ধরে। ড. শিল্পী রায় বলেন, বিদ্যালয়ের কার্যক্রমে শিশুদের সৃজনশীল অংশগ্রহণ এবং পরিবেশ সম্পর্কে তাদের মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়ন অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ ধরনের কার্যক্রম গবেষণার পরিবেশকে সমৃদ্ধ করবে। পাশাপাশি এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে টেকসই নগরায়নের বার্তা পৌঁছে দেবে।