সিরাজগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ
পুলিশ বলছে, বন্দুকধারীরা অজানা গত বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের সময় প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি ছুড়েছে তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অস্ত্রধারীরা যুবলীগের কর্মী বলে বিএনপি নেতাদের দাবি। তবে পুলিশ বলছে তদন্ত চলছে। এর মাধ্যমে পিস্তল ও রমজান বিক্ষোভকারীদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সাগর আলী ওরফে ‘পাঙ্গাশ’ বিশাল দেহের এক কালো ব্যক্তির নাম, যে সংঘর্ষের সময় পুলিশের সামনে রামদা হাতে মহরা দেয়। শাহেদনগর ব্যপারীপাড়া সংলগ্ন ধুলিপাড়ায় তার বাড়ি। শহিদ আলীর ছেলে সাগর ফেরি করে চানাচুর বিক্রি করতেন। যদিও তার দলীয় পদবী ছিল না, ভাবাঘুরে সাগর এখন ক্ষমতাসীন দলের লোকদের সাথে আড্ডা দিচ্ছেন। বিকেলে তাকে ওই এলাকায় পাওয়া যায়। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম তালুকদার রানা বলেন, সংঘর্ষের সময় ৩-৪ জন যুবলীগ কর্মীকে আমাদের লোকজনকে লক্ষ্য করে পিস্তল গুলি করতে দেখা যায়। আমরা এখন পর্যন্ত তাদের নাম সংগ্রহ করতে পারিনি। বিষয়টি দ্রুত জানার চেষ্টা চলছে। জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ জানান, সংঘর্ষের সময় কোলগয়লা ও দত্তবাড়ি মহল্লার দুই যুবলীগের নেতাকর্মীর নাম পাওয়া গেছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল জানান, বৃহস্পতিবার বিএনপির নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। পরে আমাদের নেতাকর্মীরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করে।
সিরাজগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, দু-একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে যাদের পিস্তল বা রামদা হাতে দেখা গেছে তাদের কেউই আমাদের দলের নয়। সদর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় বিএনপির শতাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করা হচ্ছে। পুলিশের তদন্তে সংঘর্ষে পিস্তল বা রামদা প্রদর্শনের বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।