ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে ট্রেন ছাড়ছে দেরিতে
ঈদ যাত্রায় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সব ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে গরমে নারী ও শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়ে।
বুধবার সকাল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ১৫টি ট্রেনই দেরিতে ছেড়েছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনের প্রথম ট্রেন রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯) সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি সকাল ৭টা ২০ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে যায়। দিনের দ্বিতীয় ট্রেন, ট্যুরিস্ট এক্সপ্রেস (৮১৬) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ঢাকা স্টেশন থেকে ছাড়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটি ছাড়ে ৬টা ৫০ মিনিটে। তৃতীয় ট্রেন সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯) সকাল সাড়ে ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা স্টেশন ছেড়েছে। কিশোরগঞ্জগামী এগারোসিন্দুর প্রভাতী (৭৩৭) ট্রেনটি সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও তা ছেড়ে যায় ৯টা ১৯ মিনিটে।
এছাড়া কমলাপুর স্টেশনে দেখা যায়, জামালপুর এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ১ নম্বর প্লাটফর্মে অপেক্ষা করছে। সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছায়নি। . তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ১১টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সেটিও প্ল্যাটফর্মে পৌঁছায়নি।
মনিরুল নামে এক যাত্রী বলেন, ‘পরিবার নিয়ে জামালপুর যাব। সকাল ১০টার ট্রেন এখনো আসেনি প্রায় দুই ঘণ্টা হয়ে গেছে। গরমে বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যায় আছি।
আরেক যাত্রী সজিব হোসেন বলেন, “প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বসে আছি। ট্রেন এখনো প্ল্যাটফর্মে আসেনি। কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না। ভোগান্তির শেষ নেই।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সরোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঢাকায় আসার পর ট্রেনগুলো আবার ছেড়ে যায়। এখন যদি ওই দিক থেকে কোনো ট্রেন দেরিতে আসে তাহলে এখান থেকেও ট্রেন দেরিতে ছাড়ে। কারণ ঢাকায় আসার পর ট্রেনগুলো পরিষ্কার করে পানি দেওয়া হয়। এ জন্য প্রতিটি ট্রেনে অন্তত এক ঘণ্টা সময় লাগে।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপদে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য, ট্রেনগুলি ১০-২০ মিনিট দেরিতে ছাড়তে হতে পারে।
উল্লেখ্য, আজ থেকে ঈদ যাত্রা শুরু হয়েছে ‘স্পেশাল’ ট্রেন সার্ভিসে।