পুলিশ কেন পুলিশকে গুলি করল?
রাজধানীর বারিধারার কূটনৈতিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল একই দায়িত্বে থাকা আরেক পুলিশ কনস্টেবল কাউসারের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বারিধারা দূতাবাস সড়কে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুজনের মধ্যে একজন সাইকেল আরোহী এবং অন্যজন জাপান দূতাবাসের চালক।
হত্যার পর মনিরের মরদেহ কিছুক্ষণ রাস্তার ওপর পড়ে ছিল। তবে পরে কাউসারকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে এ বিষয়ে কথা বলেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, “আজ (শনিবার) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে দুই কনস্টেবল ডিউটিতে ছিল। কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় সাজ্জাদ হোসেন (৪৫)। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত সাজ্জাদ হোসেনের শরীরে ৩ রাউন্ড গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে হত্যার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার কারণ জানতে কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করব। হামলাকারীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছি, ঘটনার আসল রহস্য জানা খুব কঠিন হবে না।
এদিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের প্রধান ফটকে এসে কাউসার মনিরুলকে গুলি করে বলে জানা গেছে। তখন প্রধান ফটকে দুই থেকে তিনজন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। তারা গুলির শব্দ শুনতে পেলেও বুঝতে পারেনি কাউসার মনিরুলকে গুলি করেছে। তখন ফিলিস্তিনি দূতাবাসের নিরাপত্তারক্ষী কাউসারকে জিজ্ঞাসা করেন মনিরুল কেন রাস্তায় পড়ে আছেন। তখন মনিরুলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কাওসার। সে বলে- ‘কিছু হয়নি, শালা এমন অভিনয় করছে।’
তবে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের ধারণা, মানসিক বিকারের কারণে কনস্টেবল কাউসার তার সহকর্মী কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করেছেন।