রাজধানীর মিরপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল
এক দশক পর প্রকাশ্যে রাজনীতিতে ফিরে আসা জামায়াতে ইসলামী শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে হাজার হাজার জামায়াত নেতা অংশ নেন। পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়নি।
জামায়াত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি নিয়ে মিছিল করেছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে আজ জুমার পর বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গত ৪ জুলাই শুক্রবার বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে ই-মেইল পাঠায় জামায়াত। তবে পুলিশ অনুমতি দিয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আদালতের রায়ের কারণে জামায়াত নিবন্ধন হারিয়েছে এবং যুদ্ধাপরাধের বিচারে এক শতাব্দী ধরে অচলাবস্থায় রয়েছে। দলের সকল কার্যালয় বন্ধ। গত ১০ বছরে জামায়াতের কর্মকাণ্ড শুধু ঝাটিকা মিছিলেই সীমাবদ্ধ ছিল। গত বছরের ডিসেম্বরের মিছিলে অনুমতি নেওয়া হয়নি। ৩০ ডিসেম্বর বিনা অনুমতিতে মিছিল বের হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরের চার মাসে জামায়াত তিনবার মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করলেও অনুমতি না থাকায় তা করতে পারেনি।
কিন্তু ২৪ মে মার্কিন ভিসা নীতিমালা ঘোষণার পর পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। এক দশক পর গত ১০ জুন পুলিশের অনুমতি নিয়ে রাজধানীতে সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত। আজ সমাবেশ শেষে বিশাল মিছিল বের করে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির সহ-মহাসচিব মাওলানা আবদুল হালিম।
এক মাস আগেও জামায়াত ঝটিকা মিছিল করলে পুলিশের তৎপরতা দেখা যেত। অনুমতি ছাড়া মিছিল করার অভিযোগে পুলিশ মিছিলকারীদের গ্রেপ্তার করত এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করত। তবে আজ ও পরে মিছিলে দেখা যায়নি। মিরপুর-১ গোলচত্বরে পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। কেন্দ্রীয় মজলিসে উপস্থিত ছিলেন শুরা সদস্য গোলাম মোস্তফা, উত্তর সহকারী সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মোল্লা ও ড. ফখরুদ্দিন মানিক, কর্মপরিষদ মো. আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ। সমাবেশ শেষে তাদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি টেকনিক্যাল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।